করোনা ভাইরাসের মরণ কামড় থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হল টিকা। গবেষকদের মতে, কোভিশিল্ডের মত ভ্যাকসিনগুলির দুটি ডোজ গ্রহণ করলে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে করণা থেকে বাঁচতে পারবেন মানুষ। শুধু তাই নয়, রোগে আক্রান্ত হলেও তা মারাত্মক হবে না। আর তাই টিকাকরণ ভীষণরকম জরুরী। জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া সত্ত্বেও এতদিন পর্যন্ত টিকাকরণের গতি ছিল যথেষ্ট স্লথ। এখনও পর্যন্ত সারা দেশের হিসেব করলে শতকরা মাত্র ১৬.৪ শতাংশ মানুষই ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছেন। দুটি ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৩.৬ শতাংশ মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় তা যে অনেকটাই কম তা বলাই বাহুল্য। যদিও সংখ্যার হিসেবে দেখতে গেলে সংখ্যাটা অনেকটাই। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় ২৭ কোটিরও বেশি মানুষ।
তবে টিকাকরণের গতি ধীর হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্র সরকারকে। যদিও রাজ্যের ভ্রান্ত নীতিও একটি বড় কারণ বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। তবে সে সব এখন অতীত। আপাতত জোরকদমে চলছে ভ্যাকসিনেশনের কাজ। মধ্যেই ফের একবার ভ্যাকসিন নেওয়ার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
তার দরুন আজ যোগ দিবসেই বড় রেকর্ড গড়লো ভারত। একদিনে দেওয়া হল সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন। রাত আটটা পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেলেন প্রায় ৮২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ভ্যাকসিন নীতিতেও একাধিক পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র সরকার। আর সেই কারণেই গতি এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
এ পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভ্যাকসিন একদিনে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ। সরকারি মত অনুযায়ী, একদিনে সেখানে ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় ১৩ লক্ষ ৭১ হাজার ১৭১ জন মানুষ। সরকার আজ সারাদিনে ১০ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিলেও ৩ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। একইসঙ্গে অন্ধপ্রদেশেও ভ্যাকসিন পেয়েছেন দশ লক্ষেরও বেশী মানুষ। যা এই মুহূর্তে একটি বড় রেকর্ড।
ভ্যাক্সিনেশনের গতি কিছুটা বাড়ায় এই মুহূর্তে আশ্বস্ত দেশবাসীও। সরকারি তরফে আগেই জানানো হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্ত ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করতে চায় কেন্দ্র সরকার। এই গতিতে কাজ কি এগোলে তা অনেকটাই সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।