সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে দেশ। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একের পর এক রাজ্যে। এবারে সেই উত্তাপ প্রশমিত করতে তৎপর হলো কেন্দ্রীয় সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একাধিক টুইট করা হয়েছে। নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে কোনও ভারতীয়কে যাতে অহেতুক হয়রানির মুখে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। টুইটে বলা হয়েছে শুধুমাত্র জন্মের নথি বা জন্মস্থানের নথি দাখিলের মাধ্যমে মানুষ তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন।
এছাড়াও ১৯৭১ সালের আগে কোনো ব্যক্তির বাবা অথবা ঠাকুরদা, ঠাকুমার পরিচয় পত্রপত্র বা জন্মের শংসাপত্র এই সংক্রান্ত কোনো নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য।
এছাড়াও যে সমস্ত নিরক্ষর ব্যক্তির কোনও নথি নেই তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে সাক্ষী পেশ বা কমিউনিটি সদস্যদের দ্বারা সমর্থিত কোনও স্থানীয় নথি পেশের অনুমতি দিতে পারে প্রশাসন। এসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরোধিতায় প্রতি দিন বাড়ছে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার সকাল থেকেই প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে কানপুরে। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল ৮ জন। তার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ছয়জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছেন। যদিও এই মৃত্যু পুলিশের গুলিতেই হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো কিছু স্পষ্ট করে জানান নি।
বৃহস্পতিবার ও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। অন্যদিকে দিল্লিতেও একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। একাধিক গাড়ি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জামা মসজিদ এর সামনে এবং ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বেশ কিছু এলাকায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। আজও বন্ধ ছিল দিল্লির ১০টি মেট্রো স্টেশন।