চলতি বছরের শেষেই ১১০টিরও বেশি ফাইটার জেটের অর্ডার দেবে ভারত। জানা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায় ফাইটার জেটের সংখ্যা ক্রমশ কমে এসেছে। তাই রাশিয়া থেকে ২০২০ সালের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসেই ১১৬টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেটের বরাত দেবে ভারত।
দ্যা প্রিন্ট জানাচ্ছে ২১টি মিগ ২৯ আনানো হবে। সূত্রের খবর ১৯৮০ সালে এই মিগ বিমানগুলির কাঠামো তৈরি হয়েছিল, কিন্তু কখনও ব্যবহার করা হয়নি। কাঠামো পুরোনো হলেও, এর যন্ত্রপাতি অত্যাধুনিক হবে বলে জানা গিয়েছে।মিগ ছাড়াও ১২টি এসইউ-৩০ এমকেআই আনানো হবে বলে খবর। আনানো হতে পারে ৮৩টি তেজস মার্ক ১এ।
এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস বাদোরিয়া। এদিন তিনি বলেন যেখানে বায়ুসেনায় ৪০ স্কোয়াড্রন ফাইটার থাকার কথা, সেখানে ৩০ স্কোয়াড্রন ফাইটার রয়েছে।এদের মধ্যে বেশিরভাগই বাতিল হয়ে যাওয়া মিগ চালান।
পূর্ব লাদাখে আরও ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে ভারত। মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টার। চিন সীমান্তে চলছে ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারি। সোমবার বাদোরিয়া জানান, ভারত চিন সীমান্ত সংঘাতের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেখানে এয়ারস্ট্রাইক চালাবে বায়ুসেনা। তবে বায়ুসেনা তৈরি যে কোনও সময় এয়ার স্টাইকের জন্য। তিনি বলেন সীমান্তে চিনের আগ্রাসী মনোভাব ও দখলদারির স্বভাব ভারত সুনিপুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছে। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার কড়া নজরদারিতে এগোতে সাহস পায়নি চিন।
এদিকে, সামরিক শক্তিতে চিন পাকিস্তানকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যেতে চলেছে ভারত। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ফিফথ জেন ফাইটার জেটের ইঞ্জিন পেতে চলেছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই এই ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও।
এই প্রথম ভারতের বায়ুসেনার হাতে আসবে ফিফথ জেন ফাইটার জেটের ইঞ্জিন, যা সম্পূর্ণ ভাবে দেশে তৈরি। ফিফথ জেনারেশন অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফটের জন্য যা তৈরি করা হচ্ছে। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট জানাচ্ছে ডিআরডিও-র পরিকল্পনা রাফায়েল জেটের জন্য এই ইঞ্জিন অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হবে।