মাথায় গেরুয়া ফেট্টি, পরনে গেরুয়া ধুতি পরে মাজার ভাঙচুর করছিল ২ যুবক। গ্রেফতারের পর জানা গেল, তারা আসলে মুসলিম। ধৃতদের নাম কামিল মহম্মদ ও আদিল মহম্মদ। পুলিশের অনুমান, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এমন কান্ড ঘটিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে লুকিয়ে কোরান রেখে এসেছিল এক মুসলিম যুবক। সেই নিয়ে হিন্দুদের উপর ব্যাপক অত্যাচার হয়। উত্তরপ্রদেশের বিজনোরেও সেরকম পরিকল্পনা ছিল কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলার শেরকোট থানা সংলগ্ন এলাকায় জালাল শাহের সমাধি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসে। পরবর্তীতে আবার পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে ভুরে শাহের সমাধিও ভাঙচুর করে ওই দুই যুবক। তবে এক্ষেত্রে ভাঙচুর করার সময় গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের পাকড়াও করে ফেলে।
স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হলে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকার পুলিশ সুপার দীনেশ সিং জানান, ‘ঘটনার খবর পেতেই আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত হই এবং বর্তমানে পুলিশের সতর্কতার কারণেই এলাকা শান্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনার দিকে আমাদের নজর রয়েছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’।
অভিযুক্ত দুই যুবক আদিল মোহাম্মদ এবং কামিল মোহাম্মদের পরিবার তাদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে পরবর্তীতে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নতুন কোনো তথ্য উঠে আসে কিনা, সেটাই দেখার।