ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর-এর কাজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ নবান্ন সূত্রের খবর, আপাতত এনপিআর-এ সায় নেই রাজ্যের। ২০২১ সালের জনগণনার সঙ্গেই হওয়ার কথা ছিল এনপিআর। সেই প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে এক অফিসারকে দিল্লিও পাঠানো হয় এনপিআর কী ভাবে হবে, তার ট্রেনিং নিতে। ২০২১-এর জনগণনার লক্ষ্যে এ রাজ্যেও কিছু জেলায় ট্রেনিংয়ের জন্য নোটিসও দেওয়া হয়। সোমবার নবান্ন সূত্রের খবর, এনপিআর হবে না আপাতত। নবান্ন সব জেলার জেলা শাসক ও এসপি-দের নোটিস পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন৷
এনপিআর কী? এনপিআর-এর পুরো কথা হল ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার। এর মাধ্যমে কোন এলাকায় কতজন বাস করেন, শেষ ছ’মাসে কোনও এলাকায় নতুন কত বাসিন্দা এসেছেন তার হিসেব নেওয়া হয়। ওই হিসেবের মধ্যে স্ত্রী, পুরুষ, শিশু ভাগের পাশাপাশি ধর্ম অনুসারেও ভাগ করা হয়। সেই কাজই বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার। জনগণনা যেমন খতিয়ে দেখে লোকসংখ্যা। ঠিক সে ভাবেই নাগরিকদের বিভিন্ন নথি দেখে ওই লোকসংখ্যার চরিত্র বিশ্লেষণ করে এনপিআর। যেখানে জানতে চাওয়া হয়, ওই ব্যাক্তি কোনও ধর্মের, কতদিন ধরে আছেন। ওই ব্যাক্তি কি বৈধ নাগরিক, নাকি আইনি বিধি মেনে কিছুদিনের জন্য আছে। এক কথায় নাগরিকের চরিত্রের তথ্য তুলে ধরাই এনপিআর-এর উদ্দেশ্য।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? ২০১১ সালে হয়েছিল এনপিআর। ২০১৫ সালে ড্রাফ্ট হওয়া সত্ত্বেও তা প্রকাশ করা হয় না। ২০২১ সালে আবার এনপিআর প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিছু দিনের মধ্যেই এই কাজ শুরুর কথা ছিল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এনআরসি নিয়ে মানুষ চূড়ান্ত বিভ্রান্তিতে। ডিজিটাল রেশন কার্ড করাতে গিয়েই তা টের পেয়েছে প্রশাসন। এ বার নাগরিকত্ব বিল নিয়েও রাজ্য জুড়ে যে ভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতেই কী আগাম সতর্কতা র জেরে এনপিআর হবে না বলেই আপাতত জানাচ্ছে রাজ্য। উঠছে প্রশ্ন।