ধূর্ত চীনের (china)চালাকি সমস্ত বিশ্বের কাছে ধরা পড়তেই বিশ্বের সমস্ত দেশ সচেতন হয়ে পড়েছে। চীনের সাথে থাকা ব্যাবসায়ীক চুক্তিগুলিকে রিভিউ করার কাজে নামে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু দেশ ভারতের(india) উপর নির্ভর করতে শুরু করে দিয়েছে। ইউনাইটেড কিংডম তাঁদের দেশে 5g টেকনোলজির জন্য হুয়াবেকে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অসুস্থ হওয়ার আগেই তিনি এই 5g টেকনোলজি বাতিল করার কথা বলেছিলেন।
বরিস জনসনের অসুস্থতার কারণে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী এখন সেখানকার দায়িত্ব ভার সামলাচ্ছেন। ব্রিটেনের এক আধিকারিক এই 5g টেকনোলজি আমরা বর্তমানে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার দরুন আবারও পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে তারা এই সংকটের পরিস্থিতিতে চীনের সঙ্গে কোনোরকম বাণিজ্য করতে চাইছেন না।
আবার অন্যদিকে ফ্রান্সও একটি বড় ঘোষণা করেছে। ফ্রান্স জানিয়েছে এবার থেকে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা চীনের থেকে ভারতকে বেশি প্রাধান্য দেবে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়িনেও এখন আর একতা নেই। ভারত ব্যবসার দিক থেকে বর্তমানে খুবই বৃহত একটি মার্কেট। তাই আমরা এখন ব্যবসার দিকে ভারতের সঙ্গে বেশি সমঝোতা করব। সুরক্ষার দিকেও ভারতের উপর নির্ভর করব।
এতে করে ভারত এবং ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়ে উঠবে। বিশ্বের অন্যন্য দেশও এখন চীনের বিকল্প হিসাবে ভারতের কথা ভাবছে। কারণ এখন বিশ্ব আর চীনকে চাইছে না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিশ্ব এখন চীনের সঙ্গে আর কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখতে চাইছে না। চীনের জায়গায় জায়গা দিতে চাইছে ভারতকে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনের বিকল্প হিসাবে বিশ্ব এবার ভারতকে নিয়ে চিন্তা করছে। বর্তমানে ভারত ওষুধ রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে, বিভিন্ন দেশে এই সংকটের সময় ওষুধ রপ্তানি করছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন দেশকে তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দ্রব্যও রপ্তানি করছে। সেই কারণে বিশ্ব এখন চীনের বদলে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা করার কথা ভাবছে তথা ভারতকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেব প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে।