আমফানের তাণ্ডবের ক্ষত এখনও দগদগে। এর মধ্যেই ফের ঝড়-বৃষ্টির ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সুপার সাইক্লোনের আঁচ সেভাবে টের পায়নি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। তবে এবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে উত্তরভাগের পাঁচ জেলা। রেহাই পাবে না কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গও। বরং বুধবার একদফা কালবৈশাখী আছড়ে পড়তে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে। সঙ্গে হতে পারে বৃষ্টিও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের এহেন ভবিষ্যতবাণী শুনে মাথায় হাত রাজ্যবাসীর। আমফানের ঘা শুকনোর আগে ফের ঝড়ের কথায় কাঁপছেন তাঁরা।
আমফান পাট গোটানোর পর থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রার পারদ উর্দ্ধমুখী। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯১ শতাংশ। বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে সোমবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭২ থেকে ৮৭ শতাংশ। সোমবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি।
দক্ষিণবঙ্গের আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। দক্ষিণা বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার জেরেই বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। বুধবারের পর থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কালবৈশাখীর সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ. নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। অন্যান্য জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।কলকাতায় আজ সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ রয়েছে। বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, কালবৈশাখীর আগমনের ফলে খানিকটা স্বস্তি মিলতে পারে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে উত্তরবঙ্গ। সঙ্গে থাকবে ঝড়। ২৭ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২৭ তারিখ ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে এবং ২৮ তারিখে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি গতিবেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।