অগ্নি থেকে জন্ম হয়েছিল সেই নারীর, শৈশব কৈশোর পেরিয়ে একেবারে যৌবনেই পৃথিবীদর্শন নারী দ্রৌপদীর। আগুন যেমন সবকিছুকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়, আবার তেমনই আগুনে দগ্ধ হয়েই সবকিছু বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে। দ্রৌপদীও ছিল একেবারে বিশুদ্ধ, তথাকথিত ধ্যানধারণা, শিক্ষণ, রীতিনীতি, চালচলন কোনোকিছুরই প্রভাব ছিল না তার ওপর। তাই সে একাধারে যেমন সমস্ত নারীর প্রতিভূ তেমনই মানবতার প্রতীকও বটে। প্রকৃতিপ্রদত্ত মানবগুণ ছাড়া তার মধ্যে কোনোরকম সমাজ ও সংস্কৃতির লেশমাত্র ছিল না। সেই জন্যই হয়তো প্রশ্ন করতো সে, অন্যায় বা অনুচিত কিছু হলে মেনে নিতে পারতো না।
তার স্বাভাবিক মানবতাবোধ তাকে মেনে নিতে শেখায়নি, অন্যায়ের সাথে আপস করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কৌশল তার জানা ছিল না। দিদি শিখণ্ডিনীর স্থানে যখন দাদা ধৃষ্টদ্যুম্নকে সেনাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন দ্রৌপদী দেখতে পায়নি যে নারীর চেয়ে পুরুষের অধিকার ও সামর্থ্য যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক বেশি। অবশ্যই বলা প্রয়োজন যে, শিখণ্ডিনী কিন্তু যুদ্ধকলায় যথেষ্ট নিপুণ এবং ভীষ্মের মত মহান যোদ্ধাকে বধ করার ব্রত নিয়েই সে জন্মেছিল। এই প্রতিবাদের জন্য দ্রৌপদীর প্রাপ্তি? নিজ পিতৃভূমি থেকে বহিষ্কার! কিন্তু সে যে বিশুদ্ধ, সে ন্যায়ের পথ ছাড়েনি। একাকী দ্রৌপদী ন্যায়কে বন্ধু করে বেরিয়ে গেছিল রাজ্য ছেড়ে। ভয় ছিল না যে তা নয়, তবে ভয় কক্ষনো ন্যায়কে দমন করতে পারেনি, যেমন দমন করতে পারেনি দাসীর মেয়ের সাথে বন্ধুপ্রীতিকে। না না, তার কাছে তো দাসী বা রাজার আলাদা আলাদা পরিচয় গাঁথা নেই, সকলেই মানুষ আর মানুষে মানুষে সখ্যতা, বন্ধুত্ব, প্রেম, স্নেহ এগুলো যে জাতিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে এই ধারণাই তার মনে ছিল না। শৈশবে কেউ তো তাকে শেখায়নি এই বিভেদ, তার তো শৈশবই ছিল না।
কৃষ্ণের সুদর্শন চক্রে যখন দ্রুপদের গলা বাদ যেতে চলেছে, তখন এই দ্রৌপদীই কিন্তু পিতার প্রাণ বাঁচাতে ছুটে এসেছিল। তার মনে প্রতিশোধের আগুন ছিল না পিতার প্রতি, বরং পিতাকে নিজের মনের কথা বোঝাতে না পারার দুঃখ ছিল মনে। সে দুঃখ অবশ্য কেটে যায়, মেয়ের জন্য জীবনদান পাওয়ার পর রাজা দ্রুপদ মেয়েকে মেনে নেন।
রাজ্যে ফেরার পরই দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরের আয়োজন করা হয়, শুধুই লোক দেখানি স্বয়ম্বর যেখানে প্রতিযোগিতা কেবল পাণ্ডুপুত্র অর্জুনই জিততে পারবে। এই মুহূর্ত থেকেই দ্রৌপদী আর পাঁচটা নারীর মতই তার হবু জীবনসঙ্গীকে নিয়ে প্রেমের ভাবে মগ্ন হতে শুরু করে। নিয়তির খেলায় অর্জুন সেই স্বয়ম্বর সভায় পৌঁছে যায় এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। নারীর মনের সেই ইচ্ছাপূরণের মুহূর্ত, অর্জুনের সাথে নারী দ্রৌপদীর বিদায়।
নিজের রাজ্যে সন্মান, পিতার স্নেহ, বন্ধু হিসাবে শ্রীকৃষ্ণ এবং স্বামী হিসাবে অর্জুন! একজন নারীর জীবনটাই খুব রঙিন হয়ে গেছিল তখন কিন্তু পাণ্ডবদের গৃহে প্রবেশের মুহূর্তেই ঘটে গেল অঘটন। ঘটনাচক্রে দ্রৌপদীর কাছে এসে উপস্থিত হয় এক বড় সিদ্ধান্তের সন্ধিক্ষণ।
একজন নারী কীভাবে পাঁচজন স্বামীর স্ত্রী হতে পারে? আর যদি না হয় তবে পাণ্ডবদের বাকি চারজনকে নিতে হবে সন্ন্যাস। কী করবে নারী দ্রৌপদী? পাঁচজনকে বিবাহ করতে রাজি হয় সে। এই বিবাহ আবার সাধারণ বিবাহ নয়; দাম্পত্য ধর্ম সঠিকভাবে পালন করার জন্য নিজেদের কঠোর নিয়মে বাঁধে তারা। প্রত্যেক বছরে কেবলমাত্র একজন স্বামীই দ্রৌপদীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখবে। দ্রৌপদীর উপর এসে পড়ে এক বড় দায়িত্ব, পাঁচজন স্বামীকে সমান চোখে দেখার–সমানভাবে ভালোবাসার, কোনোরকম পক্ষপাত ছাড়া। সেই নারী অসম্ভব তপস্যা করে নেয় তার বৈবাহিক জীবনকে। পাঁচজন স্বামীর প্রতি সমান সমর্পণ নিয়ে যে নারী জীবনযাপন করতে পারে সে সাধারণের পর্যায়ে আর রইল না। মানুষ তার স্বভাব ও চরিত্র অনুযায়ী এই বিষয় নিয়ে গুজব রটায় এবং দ্রৌপদীকে অপবিত্র বলে অপমান করতে থাকে। মানুষ বোধহয় তাকেই অপমান করে বা তার নামেই নিন্দা করে যার ক্রিয়াকলাপের অসাধারণত্ব তাদের সাধারণ মাথায় প্রবেশ না করে।
শত অপমানের মাঝেও দ্রৌপদী তার জীবনতপস্যা বজায় রাখে। তপস্যা শুধু দ্রৌপদীর ছিল না, পঞ্চপাণ্ডবদেরও ছিল বটে। তাঁরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিবাহ করতে পারতেন কিন্তু বধূকে ইন্দ্রপ্রস্থ তথা হস্তিনাপুরে থাকার অধিকার দেওয়া হবে না। কিন্তু এই নিয়মও একদিন ভেঙে যায়; বিভিন্ন কারণে অর্জুন তার নববধূ সুভদ্রাকে ইন্দ্রপ্রস্থে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়। দ্রৌপদী যে নিয়মের আধারে তার সমগ্র জীবনকে তপস্যারূপে যাপন করেছে সেই নিয়ম ভেঙে গেলে কীভাবে চলবে? মানতে রাজি হয় না সে প্রথমে। কিন্তু বহু চিন্তনের পর এই নিয়মভঙ্গও খুশিমনে মেনে নেয় দ্রৌপদী – অর্জুন, সুভদ্রা তথা সমাজের কল্যাণের ভাবনা তার ব্যক্তিগত বৈবাহিক জীবনের নিয়মকে ছাপিয়ে যায়। চিন্তাশীল যে কোনো ব্যক্তিত্ব এই মুহূর্ত থেকে দ্রৌপদীকে মনে মনে আলিঙ্গন না করে থাকতে পারবে না।
এতটা পবিত্র আর অসাধারণ এই নারীরও কিনা বস্ত্রহরণ হয়েছিল রাজদরবারে! ধৃতরাষ্ট্রপুত্র দুঃশাসনের হাতে, দুর্যোধনের ইচ্ছায় এবং গান্ধারনরেশ শকুনির প্রবঞ্চনায়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মহান ভীষ্ম পিতামহ, গুরুদেব দ্রোণাচার্য, মহারথি কর্ণ, ও স্বয়ং সম্রাট ধৃতরাষ্ট্র। অদ্ভূত কূটকৌশলে পঞ্চপাণ্ডব হয়ে যায় দুর্যোধনের দাস। যুধিষ্ঠির তার ধর্মের পথে চলতে চলতে দ্রৌপদীকেও দুর্যোধনের দাসী করে ফেলে।সভায় উপস্থিত মহাজ্ঞানী ও বলশালী ব্যক্তিত্বরা বস্ত্রহরণের প্রতিবাদ করেন মুখে, তবে কেউ বাহুবলে তা আটকান না। প্রতিরোধ আসে একজনের কাছ থেকেই–স্বয়ং দ্রৌপদী, সে দাসত্ব অমান্য করে সভায় সকলের সামনে। পঞ্চপান্ডব স্বামী হাঁটুর ওপর বসা, মাতা কুন্তী তথা রাজমাতা গান্ধারী সভাগৃহেই নেই, প্রতাপী ব্যক্তিত্বরা তাদেরই আসনে বিরাজমান এমন অবস্থায় ভয় না পেয়ে সেই দ্রৌপদীই অস্বীকার করে এই প্রবঞ্ছনার দাসত্ব। পাশাখেলার নিয়ম, দাসধর্ম, রাজার আদেশ এসবকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় সে এই অন্যায়কে অমান্য করে। কিন্তু দুর্যোধনের মনের অন্ধকার আর বাহুবলের দরুন সেই অপমানকর মুহূর্ত এসে পড়ে, দ্রৌপদী তখনও মেনে নেয় না এবং মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকেন। স্বয়ং বাসুদেব কৃষ্ণ তার বস্ত্রহরণ বাঁচিয়ে দেন তবে বস্ত্রহরণের অপমান বাঁচাতে পারেন না। সভায় উপস্থিত সকলকে উচিত কথন দিয়ে প্রতিশোধের ব্রত নিয়ে পঞ্চপাণ্ডবদের সাথে দ্রৌপদী বনবাস তথা অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়।
বনবাসে গিয়ে সাধারণের থেকেও সাধারণ জীবন ব্যতীত করে পঞ্চপাণ্ডব ও দ্রৌপদী। মনের মধ্যে অপমানের লাঞ্ছনা থাকলেও দ্রৌপদীর বনবাস আপসোস করে নয়, আনন্দের মধ্যেই কাটে। অন্যায় ও অভাবের মধ্যেও মনের শান্তি ও আনন্দ বজায় রেখে এই অসাধারণ নারী বারোটা বছর কাটিয়ে দেয়। বনবাসেও বৈবাহিক জীবনের তপস্যা কিন্তু বিস্মৃত হয় না। এর মধ্যেও দুর্যোধন তথা শকুনির কূটনীতির জেরে অস্থির হতে হয়। সিন্ধুরাজ জয়দ্রথ দ্রৌপদীকে অপহরণের চেষ্টা করে। সেই উদ্দেশ্য সফল হয় না শেষ পর্যন্ত, তবে এখনও দ্রৌপদী প্রতিশোধের আগুনে ফেটে পড়ে জয়দ্রথকে বধ করার জন্য অনুরোধ করে না, অর্জুন তথা ভীম তাকে ছেড়েই দেয়। বনবাস পরবর্তী অজ্ঞাতবাসে রাজা বিরাটের সেনাপতি কীচকের হাতেও অপমানিত হতে হয় দ্রৌপদীকে। শেষ রক্ষা সেখানেও হয়ে যায় পঞ্চপাণ্ডবের প্রতিরোধে। জয়দ্রথ তথা কীচকের মুখেও বারংবার তাকে সেই একই অপবিত্র এবং চরিত্রহীন আখ্যা পেতে হয়। কিন্তু কোনো কথাই দ্রৌপদীকে টলাতে পারে না।
সমস্তরকম বাধা বিপত্তি পেরিয়ে উপস্থিত হয় মহাভারতের মহাযুদ্ধের মাহেন্দ্রক্ষণ। এই মহাযুদ্ধের পূর্বে দ্রৌপদী তার পাঁচ পুত্রকে কৈশোর বয়সে কোনোদিন দেখেনি, উপপাণ্ডবদের দেখে তার মনে মাতৃস্নেহের উদ্রেক যেমন হয়েছে তেমনই যুদ্ধের ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা তার মনকে আঁধারে ভরে তুলেছে। নিজের সন্তানদের একরকম যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে তার মন কাঁপতে শুরু করে, প্রতিশোধের জন্য সে তার পুত্রদের জীবনের ঝুঁকি নিতে চায়নি। দ্রৌপদী শুধু নিজের গর্ভজাত পাঁচ পুত্রদের স্নেহ করত তাই নয়, সুভদ্রা পুত্র অভিমন্যুকেও সমান ভালোবাসতো সে, নিজেরই পুত্র মনে করত। এক অসাধারণ নারীই যে এক অসামান্য মাও হয়ে উঠতে পারে তার নিদর্শন দ্রৌপদী।
ইতিমধ্যে বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের প্রস্তাবে অর্জুন পুত্র অভিমন্যুর সাথে বিরাট কন্যা উত্তরার বিবাহ সম্পন্ন হয়, বাসুদেব সেই প্রস্তাবের সময় উল্লেখ করেন যে কুরুবংশের নবনির্মাতার আশার বীজ নাকি এই বিবাহেরই ফসল। অন্য কেউ এই বিষয় নিয়ে চিন্তন না করলেও দ্রৌপদী এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে তার বাকি সন্তানদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ তার উত্তরে তার সখিকে সত্যটি জানিয়ে দেন, জানিয়ে দেন যে পঞ্চপাণ্ডব ব্যতীত কুরুবংশের কোনো পুরুষ বেঁচে থাকবে না এই যুদ্ধের পর।
কোন মা চায় যে তার সকল সন্তানদের কৈশোরে মৃত্যু হয়ে যাক? তাও আবার যুদ্ধে? আর সেই যুদ্ধের সূত্রপাত কোথায়? স্বয়ং দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ থেকেই! নিজের অপমানের দুঃখ বিস্মরণ করে নেয় সে, নিজের অপমানের প্রতিশোধ নিতে তার নিজেরই সন্তানদের বলি হতে দেবে না সে। প্রতিবাদী, ন্যায়পরায়ণ নারী হলেও মাতৃত্বভাব তা মধ্য থেকে বিলুপ্ত হয়নি।
এরপরও কিন্তু দ্রৌপদী যুদ্ধের জন্য রাজি হয়, নিজের অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নয়। বাসুদেবের কাছে এই যুদ্ধের তাৎপর্য জানার পর – সমগ্র ভারতের মানুষের মঙ্গলার্থে, সমগ্র ভারতে ধর্মের পুনঃস্থাপনের জন্য সে এই যুদ্ধের পরিণতি জেনেও রাজি হয়ে যায়। এক মহৎ উদ্দেশ্যে যখন মানুষের জীবনের বলিদান হয় তখন মৃত্যু শীঘ্র প্রাপ্ত হলেও সময়ের মধ্যে সেই ক্ষুদ্র জীবনও অমর হয়ে থেকে যায়। এক মা তার সন্তানদের জেনে বুঝে এই মৃত্যুপরবর্তী অমরত্বের দিকে ঠেলে দেয়, সমস্ত স্বার্থচিন্তা সরিয়ে রেখে একরকম জীবনটাকেই উৎসর্গ করে দেয় মানুষের কল্যাণার্থে। যুদ্ধক্ষেত্রে আঘাত লাগে তার স্বামী, সন্তান, আত্মীয়স্বজনদের কিন্তু যত দিন যেতে থাকে ক্ষত বিক্ষত হয় দ্রৌপদীর মন, এ যেন জেনে বুঝে বিষ পান–তবুও মনোবল হারায়নি সে, দৃঢ় বিশ্বাস যে এই বিষপান থেকে একদিন অমৃত সৃষ্টি হয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে – সহস্রাধিক মানুষের জীবন সুখময় হয়ে উঠবে। দুঃখে লিপ্ত হয়ে নিঃশেষ না হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের তাঁবুতে উপস্থিত থেকে যুদ্ধে আহত এবং নিহতদের যথাক্রমে সেবা এবং অন্তিমক্রিয়ায় নিযুক্ত থাকে সে। চোখের সামানে একের পর এক মৃত্যু দেখে সে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিন তার পাঁচপুত্রকে মৃত্যু বরণ করতে দেখে সে, দুঃখে ভেঙে পড়ে সে – তবে সে তো জানতো সবই। সমাজে যখন ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়, দ্রৌপদী সেই কর্মেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।
যুদ্ধক্ষেত্রে পঞ্চপাণ্ডব, উপপাণ্ডব, অভিমন্যু তথা অন্যান্যরা প্রতক্ষভাবে যুদ্ধ করে কিন্তু পরোক্ষভাবে নারী দ্রৌপদীর মনেরও যুদ্ধ, এই যুদ্ধে কোথায় যেন তার প্রতি হওয়া অন্যায়ের কথা ভুলে যায় সে; সেই মহীয়সী এই যুদ্ধ সমাজ কল্যাণের তথা ধর্মপ্রতিষ্ঠার যুদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। আর শেষ মুহূর্ত অবধি মনোবল তথা বিশ্বাস ধরে রাখে, নিজের কাজগুলি নিষ্ঠার সাথে করে যায় – পঞ্চপাণ্ডবের যোগ্য স্ত্রী হয়ে বিধর্মীদের নাশ করে ধর্মস্থাপনা করে সে। তাই দ্রৌপদী নারীচরিত্রের সেই বীরত্ব যা প্রত্যেক নারীকে জীবনসংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে থাকবে চিরকাল।
ড. কৌশিক কুমার দাস