সেই কড়িবর্গাগুলো ফিরে পেতে চাই…
যেখানে লেগে রয়েছে ফেলে আসা রক্তের ছাই
শৈশবে বপন করা স্মৃতির বীজগুলো পায়নি সুযোগ সেদিন মেখে নিতে ভালবাসার ধুলো;
সুউচ্চ তরবারি, লাঠি ও বন্দুক এলো ধেয়ে —
আমার স্মৃতিগুলো লুটিয়ে পড়লো কড়িবর্গাগুলোর গা বেয়ে…।
রক্তের বোটকা গন্ধ…
আজও মনে করিয়ে দেয় কেমন করে হয়েছিল সবকিছু লন্ডভন্ড
মায়ের যোনীর রক্ত স্রোত..
বোনের আর্ত কান্না–
আমায় বাঁচাও বাবা …
আমাকে একটু দেখ মা ..
আমায় একটু দেখ না ভাই …
আমার ভীষন ভয় করছে..!
তোমরা আমায় খেয়ো না —
আমায় আঁচড় কেটে বিদীর্ণ করো না গো ..
আমি তোমাদেরই একজন
এই তো সেদিন তোমাদের বোনের সঙ্গেই তো ছিলাম …
বাবার অখণ্ড শিশ্ন তো অনেক আগেই করেছে বাবার শিরোচ্ছেদ
মা তো যোনীর দগ্ধে প্রাণ ত্যাগ…
আমি তো অসহায় বোনের ছিন্নভিন্ন বক্ষটাই দেখলাম–
কতগুলো ধর্মান্ধ বিদীর্ণ করলো তার লালিত যৌনতার সুরকে….
বেজে উঠলো ধ্বংসের আর্তনাদ ..!
পালিয়ে এলাম একা হাত পায়ে …
একরাশ অসহায়তা আজও আসে ধেয়ে।
আর অব্যক্ত মন আমায় প্রশ্ন করে …বেঁচে আছো ?
বেঁচে আছো ?
আমি শুধুই তাকিয়ে থাকি …
অব্যক্ত যন্ত্রনা নিয়ে…!
আমি পালিয়ে আসা সেই অসহায় সন্তান…
আমি পালিয়ে আসা সেই অসহায় ভাই…
আমার কিন্তু পিতৃ ভূমিতে ঠাঁই হয় নাই
Copyright reserved©®
রতন ঘোষ