উদ্বেগ বাড়ল। সমীক্ষায় প্রকাশ করোনা রোগিদের সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিৎসকরা যে জিঙ্ক ও ভিটামিন সি ট্যাবলেট দেন, তা বিশেষ কার্যকরী নয়। জামা নেটওয়ার্ক জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা তেমনই তথ্য দিচ্ছে। জিঙ্ক ও ভিটামিন সির ট্যাবলেট বাজারে সস্তায় সহজেই মেলে। এতদিন করোনা রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে এই দুটি ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, তা খুব একটা কার্যকরী নয়। জিঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামতি ও সংক্রমণের সাথে লড়ার ক্ষমতা তৈরি করে, অন্যদিকে ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডান্ট হিসেবে ইমিউন রেসপন্স তৈরি করে। করোনা কালে এই দুটি ওষুধের চাহিদা ও বিক্রি ভালো হারে বেড়েছিল। যদিও এখন তা বিশেষ কার্যকরী নয় বলেই জানা যাচ্ছে। তবে করোনা হয়েছে প্রমাণিত হয়নি এমন রোগী যদি এই দুটি ওষুধ খান, তবে সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষ্মণগুলি অনেকটাই প্রশমিত হয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়। ২১৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে নিয়ে গবেষণা চালান সমীক্ষকরা। এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। সেগুলি হল- তেলাঙ্গানা, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, অসম, চণ্ডীগড়, লাক্ষাদ্বীপ, মণিপুর, মেঘালয়, লাদাখ, মিজোরাম, সিকিম, নাগাল্যান্ড. অরুণাচল প্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২০ লক্ষ ৮১ হাজার ৫২০ জন। সেরাজ্যে করেনাায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার ৬৬৯। একদিনে মহারাষ্ট্রে ২ হাজার ১৫৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ৭৫ দিনর রেকর্ড ভেঙেছে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। শেষবার একদিনে রাজ্যে ৬ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন গত বছরের ৩০ অক্টোবর। তারপর এই প্রথম একদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। একদিনে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে ৮২৩ জন ও পুণেতে ১ হাজার ১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।