টিকা পাওয়া নিয়ে হাজারো সমস্যা। আগের রাত থেকে টিকার লাইন দাঁড়িয়েও টিকা মিলছে না অনেকের। এনিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগের শেষ নেই। এবার কোভিড টিকাকরণকে ঘিরে কলকাতার হাইকোর্টর প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। মামলাকারী অভিযোগ করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনায় ১ কোটির বেশি মানুষ বাস করেন। সেখানে কোনও সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই। একথা জেনেই আদালত নানা প্রশ্ন তোলে। মূলত ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যে টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রের পলিসি আদালতকে জানাতে হবে। রাজ্যকে কেন্দ্র কত টিকা দিয়েছে তা জানানোর জন্যও কেন্দ্রের আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে কেন্দ্রের আইনজীবীর পাশাপাশি রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। ’বয়স্ক মানুষদের টিকার লাইনে কেন দাঁড়াতে হচ্ছে?’ পাশাপাশি টিকাকরণের হার নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। কত মানুষকে রাজ্য সরকার টিকা দিয়েছে, বৃদ্ধাবাসগুলিতে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে কি না, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের কত শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে, কারা টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়েছেন, এসবই জানতে চেয়েছে আদালত।
এদিকে আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘১ কোটি ৫৮ লক্ষ মানুষকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। দুটি টিকা পেয়েছেন ৪৫ লক্ষ মানুষ। মোট ২ কোটি ৩ লক্ষের বেশি মানুষকে সরকার টিকা দিয়েছে। বেসরকারি জায়গা থেকে টিকাপ্রাপকের সংখ্যা প্রায় ২৭ লক্ষ। হিসাবে অনুসারে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ৯ কোটি ১৩ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্য়ে২ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গ্রামেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য।পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন,’ টাকা রোজগার ছাড়়াও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে সবার। তা হলে এত বিল নেওয়া হচ্ছে কেন?’