উৎসবের মরশুমে এবং ঠান্ডা পড়লেই করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে। এমনটাই আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের। আর সে কারণে বারবার করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে কিছুটা হলেও আশার কথা শোনা যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)।
সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন তৈরি হয়ে যাবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে চলছে লড়াই। দিন-রাত এক করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। সরকার জরুরি ভিত্তিতে আগে ছাড়পত্র না দিলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে আসবে কোভ্যাক্সিন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভারত বায়োটেককে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। যার অর্থ প্রথম দু’টি ট্রায়াল সফল। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “যদি সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন মেলে তাহলে ২০২১-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে আমাদের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাব। জুনের মধ্যে ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা পুরো তিন দফার ট্রায়াল শেষ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাই। তবে সরকার হয়তো আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমতিও দিতে পারে। তবে আমরা সে জন্য অনুরোধ করব না।”
উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিন (Covaxin) সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে তৈরি করোনার টিকা। এই উদ্যোগে ভারত বায়োটককে সাহায্য করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিও। ২৫টি কেন্দ্রে প্রায় ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার পরীক্ষা চলবে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন রাজ্যেও পরীক্ষা শুরু হবে। আগের দুই দফার সঙ্গে এবার অনেক তফাত হবে বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। সে কারণে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সক্ষমতা এবং গুণমানের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে সন্নিহিত এলাকায় সংক্রমণের ব্যাপকতাও দেখা হচ্ছে।