গত কয়েকদিন ধরেই ভারতে নিম্নমুখী করোনার গ্রাফ। দেশের করোনা পরিস্থিতি কবে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে, তার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দিল কেন্দ্র সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাঁদের আশ্বাস, করোনা সংক্রমণের শিখরকে পিছনে ফেলে এসেছে ভারত। ফলে এরপর দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে উৎসবের মরশুম নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে এই কমিটি। তাঁদের আশঙ্কা, সঠিক নিয়ম না মানলে, শীত ও পুজোর মরশুমে প্রতি মাসে ২৬ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।
দেশে কোভিড সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি এবং তার প্রতিকারের উপায় খুঁজতে এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। কমিটির দায়িত্ব ছিল ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সুপারমডেল’ নামে একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করা। এই মডেলের মাধ্যমে দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের দিশা দেখানো। সেই গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করেই কমিটি দাবি করেছে, ভারত করোনা সংক্রমণের শীর্ষবস্থা পেরিয়ে এসেছে। সমস্ত নিয়ম মেনে চললে নতুন বছরের গোড়ার দিকেই করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে রবিবার দাবি করেছে ওই কমিটির সদস্যরা। দেশের বেশ কয়েকটি আইআইটি ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সদস্যরা এই কমিটিতে রয়েছেন। করোনা মহামারীর শেষ নিয়ে ইতিবাচক কথা শুনিয়েছেন তাঁরা।
এদিন ওই কমিটির তরফে জানানো হয়, সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চললে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। তখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা থাকবে খুব সামান্য। বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা প্রায় ৭৫ লক্ষ। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ১ কোটি ৫ লক্ষে। তবে সঠিক নিয়ম মেনে, জমায়েত এড়িয়ে চলার কথা এদিনও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে উৎসবের মরশুমে দেশজুড়ে নিয়ম ভাঙাতে শুরু করলে পরিস্থিতিত কী হবে তা এখনও অজানা। সেদিকে নজর রেখে কমিটির সতর্কবাণী, উৎসবের মরশুমে নিয়ম ভাঙলে প্রতি মাসে ২৬ লক্ষ ভারতীয় করোনা আক্রান্ত হতে পারে।
অন্যাদিকে এদিন দেশে গোষ্ঠী্ সংক্রমণের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এদিন তিনি জানিয়েছেন, দেশে কয়েকটি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্র্মণ শুরু হয়েছে। তবে গোটা দেশে সেটা হয়নি। কিছুদিন আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন। দিন সেই সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি এই তথ্য জানান।