করোনা ভাইরাসকে জার্মানি এখন সমীহ করছে তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভাইরাস স্পেশালিস্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে কী করতে হবে

১. পাবলিক প্লেসে অন্যদের থেকে দেড়-দুই মিটার দূরত্ব রাখুন, যাতে কেহ হাঁচি দিলে মুখমণ্ডলে না আসে। আসলে হাঁচির জীবাণু ৫ মিটার দূরেও যায়! হাত না ধুয়ে হাত মুখমণ্ডলে লাগাবেন না। তাই হাত মোজা বা পারলে মুখোশ পরুন, যাতে হাঁচির জীবাণু মুখে না আসে। তবে যে ভাইরাসে আক্রান্ত, তার মুখোশ পরা জরুরী, যাতে তার থেকে জীবাণু না ছড়ায়। বাইরে থেকে সে ভালো করে গরম জল দিয়ে হাত ধুয়ে নেবার পরেই ও যে কেমিক্যাল জীবাণু মারে মানে ডিসইনফেকশন তরল ভালো করে হাতে লাগিয়ে কয়েক মিনিট পর মুখে হাত দেবেন।

০২. যদি যাদের হার্ট, ফুসফুস,কিডনি রোগ আছে, তারা অসুস্থ হয় বেশি, তবে দেখা গেছে ভাইরাস দ্রুত চরিত্র চেঞ্জ করে, ও সুস্থ অসুস্থ বাচ্চা যুবক বৃদ্ধ সবাইকে আক্রমণ করে। মৃত্যুর হার সঠিক করে কেহ বলতে পারে না, কারণ চীন যে সব খবর সঠিক ভাবে দিয়েছে, তা কেউ ভাবে না, তবে ১-৪% মৃত্যুর হার , বলছে রবার্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান ভাইরাস এক্সপার্ট , যে এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছে!

০৩. তিন মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন বানানো গেলেও আগামী গরমের পূর্বে (২০২১) এই ভ্যাকসিন বাজার জাত হবে না, কারণ বাজারে ছাড়তে গেলেঅনেক ক্লিনিকাল টেস্ট করতে হয়।

০৪. চীন বলছে, ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধে (Quinine sulfate) অনেকের এই রোগ সেরেছে! তেমনি থাইল্যান্ড বলেছে, এইডস রোগের ওষুধে একজনের এই রোগ সেরেছে। কত লোক আক্রান্ত হয়েছে ও চিনে মরেছে কেহ জানে না!
০৫. ঠান্ডার দেশে গরম পড়া শুরু হলে, এই রোগের আক্রমণ কমবে বলে আশা করছে
০৬. রুগীকে আলাদা করে রাখাই বেস্ট। গলায় যেখানে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ হলে খুশ খুশ করে, করোনা আক্রান্ত হলে সেখানেই তেমন অবস্থা হয়। এখন পর্যন্ত যে খবর জানা গেছে, যে দেশে তাপমাত্রা >৩০ সেলসিয়াস ও বাতাসে আদ্রতা >৫০% , সেখানে করোনা ভাইরাস অত সক্রিয় নয়! সেই কারণেই বিজ্ঞানীরা বলছে, ইউরোপে গরম পড়লে রোগের তীব্রতা কমবে।

০৭. নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ান। স্ট্রেস কমান, ডেইলি ঘাম ঝরানো এক্সারসাইজ সঠিক ভাবে করুন, বাড়িতে কার্ডিয়াক সাইকেল কিনে চালান প্রতিদিন ১ ঘণ্টা! মন শান্ত রাখতে ধ্যান করুন!

০৮. রোগ যাতে না হয়, সেটাই চেষ্টা করুন।

০৯. জার্মানির ইনফেকশন আইন অনুযায়ী কেহ কাজে যেতে না পারলে বা অফিস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলে, ৬ সপ্তাহ ১০০% বেতন দিতে বাধ্য কোম্পানি! অনেক অফিস কর্মীদের ছুটি নিতে বলছে বা বাড়ি থেকে কাজ করতে বলছে, যদি সম্ভব হয়! তবে সরকারও এমন অবস্থা হলে কোম্পানিকে সাহায্য করবে!

১০. আমার অফিস ও অধিকার দিয়েছে দরকার হলে বাড়ি থেকে আমরা এখন থেকে কাজ করতে পারি ! কারণ আমাদের ডিপার্টমেন্ট সব কাজ বাড়ি থেকে করতে পারে! মিটিং ও! ডিজিটাল বাদে সব মিটিং নিষিদ্ধ করেছে!

১১. বাংলায় পুরভোট পেছানো উচিত কিনা, সর্বজ্ঞানী মমতাময়ী ও বিরোধীদলের নেতারা ভাবুক! এক্সপার্টদের কে নির্ভয়ে পরামর্শ দিতে দিক ও সেটা মানুক। তবে করোনা কিন্তু নেতা প্রজা, সরকারি দল , বিরোধী দল, মোল্লা হিন্দু বিচার করে না! করোনা আক্রমণ হলে আনন্দবাজারের মত পেইড মিডিয়া , বিরোধী দল মোদিকে আবার দায়ী করতে শুরু করবে, কিন্তু কোনো লাভ হবে না। আল্লা যখন করোনা দিয়ে মোল্লাদেরও মারছে, মোদী কি করে ঠেকাবে?

মৃণাল মজুমদার, বার্লিন, ২৮.২.২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.