ফের কেন্দ্র ও রাজ্য পৃথক তথ্য পেশ করল রাজ্যবাসীর সামনে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জন বেড়ে এখন ৯৯ জন, চিকিৎসাধীন ৮১ জন। আর বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করলেন রাজ্যে ২ আক্রান্ত বেড়ে এখন ৭১ জন।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওই বুলেটিনে এটাও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal) এই ৯৯ জনের মধ্যে ১৩ জনকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। মারা গিয়েছেন ৫ জন। এই তথ্য মিলছে রাজ্য সরকারের সঙ্গেও। কিন্তু তাদের দাবি মতো বাংলায় এখনও ৮১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে, যাদের চিকিৎসা চলছে। সেখানেই রাজ্য দাবি করছে, রাজ্যে চিকিৎসাধীন করোনা (corona)রোগীর সংখ্যা ৭১ জন। তাহলে কেন্দ্র ও রাজ্যের তথ্যে ১০ জন রোগীর হিসেব গরমিল হচ্ছে কেন, এ প্রশ্নের কোনও জবাব নেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে।
আক্রান্ত ৬৯ জনের মধ্যে ৬০ জনই ন’টি পরিবারের বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা করোনা হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন বাংলায় ৯৯ শতাংশ সংক্রামিত বিদেশ থেকে এসেছেন। আর পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও এ রাজ্যে সেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়ায়নি। পরিবারের মধ্যেই বেশিরভাগ সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সর্বভারতীয় বিজেপি এবং রাজ্য বিজেপি(bjp) নেতৃত্ব দলীয় তরফে অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তথ্য গোপন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে টুইটারে ধারাবাহিক কিছু পোস্টও করেছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তার পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ তথা চিকিৎসক কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তবে বিজেপির আইটি সেলের অতি সক্রিয়তা যে তিনি মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না, তা পরিষ্কার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত কোন জায়গায় দাঁড়ায়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় রাজ্য বাসী।