ইউক্রেনে প্রাণ গেল দ্বিতীয় ভারতীয় পড়ুয়ার। ওই ভারতীয় পড়ুয়ার নাম চন্দন জিন্দাল (২২)। চন্দন পঞ্জাবের বারনালার বাসিন্দা। তিনি ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়ার ভিন্নিতসিয়া ন্যাশনাল পাইরোগভ মেমোরিয়াল মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। জানা গিয়েছে, ভিন্নিতসিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকালে মারা যান। চন্দনের বাবা ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের কাছে তাঁর মৃতদেহ দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ হামলার মুখে পড়ে নিহত হন প্রথম ভারতীয় পড়ুয়া। মঙ্গলবার খারকিভে বোমা বিস্ফোরণের ফলে এই ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। ওই পড়ুয়া উত্তর কর্নাটকের বাসিন্দা। মৃত ছাত্রের নাম নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধর। নবীন মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিহত ভারতীয় পড়ুয়ার এক বন্ধু জানান, খাবার আনতে বেরিয়ে ছিলেন তাঁর বন্ধু। বাকিরা হস্টেলে থাকলেও নবীন ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আর ওই ফ্ল্যাটটি ঠিক গভর্নর হাউসের পিছনে। সেখানেই হামলা চালিয়েছিল রুশ সেনা।
নবীনের মৃত্যুর পরই কূটনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াদিল্লির রুশ এবং ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলেও বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর।
তবে কিভে আরও কোনও ভারতীয় আটকে নেই। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করল কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে বিদেশ সচিব জানান, কিভে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রুশ সামরিক অভিযানের কারণে দূতাবাসের কর্মীদেরও অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে আগামী তিন দিনে ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলির বিভিন্ন বিমানবন্দরে মোট ২৬টি উড়ান যাবে বলেও কেন্দ্র জানিয়েছে।