হলুদের কত গুণ সেসব জানা এবং জানানো কারো পক্ষেও সম্ভব নয়।
• বিধাতার এক অপরূপ সৃষ্টি এই হলুদ প্রায় সর্বরোগেই কল্যাণকর এবং সর্বরোগ প্রতিরোধকারী।
• হলুদের ‘কারকিউমিন’ নামক পদার্থটি সর্বরোগহর। মানুষের ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়।
• ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ প্রতিরোধে কাঁচা হলুদের ও গুঁড়ো হলুদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
হলুদ খাদ্য হিসেবে ও বাহ্যিক প্রয়োগেও কল্যাণকর।
• কেটে গেছে হলুদ গুঁড়ো চেপে ধরলে রক্তপড়া বন্ধ হবে, সুন্দর জোড়া লেগে যাবে।
• পুড়ে গেলে, ঝলসে গেলে হলুদবাটা লাগানো মহোপকার।
• জোঁকে ধরলেও হলুদ লাগানো যায়।
• মচকে গেলে চুন-হলুদ গরম করে লাগালে বেশ উপকার হয়। ব্যথা ও ফোলা দুই-ই কমায়।
• হলুদ গরম জলে ফুটিয়ে গারগেল করলে মুখের ভিতরে ও জিভের সবরকম ঘায়ে উপকার হবে এবং টনসিলের সমস্যা দূর হয়।
• কাঁচা হলুদ আর নিমপাতা বাটা গায়ে-মুখে মেখে আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে রগড়ে দিতে হবে। চামড়ার ঔজ্জল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চর্মরোগও প্রতিরোধ করে।
• গরম দুধে হলুদ চূর্ণ মিশিয়ে খেলে দুধের পুষ্টিমূল্য বৃদ্ধি পায়। নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
• পাকস্থলীতে ঘা হলে দুধ-হলুদ বা হলুদ-জল খুবই উপকারী।
• গরমভাতে ভালো হলুদবাটা বা গুঁড়ো খুবই উপকারী।
• গোলমরিচের সঙ্গে হলুদ ফোটানো জল খেলে সর্দিকাশি কমে।
• কাঁচা হলুদের রস ব্লাড-ক্যানসারে ফলদায়ক।
• এছাড়া স্তনের, অন্ত্রের ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারেও হলুদ উপকারী।
• শিশুদের নিউকেমিয়ার ঝুঁকি কমায় হলুদ।
• রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে হার্ট ব্লকেজ থেকে বাঁচায় হলুদের রস।
• হলুদ বাড়তি মেদ কমায়।
•রুটি লুচি পরোটা এমনকী পায়েশেও হলুদ খাওয়ার অভ্যেস করতে হবে।
• যে কোনো ঘায়ে গোমূত্রের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগালে খুব ভালো কাজ হয়।
হলুদের রস ডায়াবেটিসে লাভদায়ক।ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে।
• কোষ্ঠকাঠিন্যেও হলুদের রস লাভদায়ক।
• ঋতুচলাকালীন অতিরিক্ত রক্তস্রাবে হলুদ উপকারী।
•জন্ডিসে বা রক্তাল্পতায় গায়ের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে গেলে, কাঁচা হলুদের রস লাগাতে হবে।
• হলুদ দিয়ে ফুলকপি— ক্যান্সারের পথ্য।
•মুসুরডাল বাটা ও কাঁচা হলুদবাটার মিশ্রণ মুখের ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধিতে খুবই লাভদায়ক।
•সকালে ঘুম থেকে উঠে কঁচা হলুদ, গুড় বা মধুর সঙ্গে খেলে বহু রোগে কল্যাণকর।
•মুখের ব্রণ দূর করতে হলুদবাটা খুবই কার্যকরী।
• দাঁতের ক্ষয়ে বা ঘায়ে হলুদ সরষের তেলের সঙ্গে পেস্ট করে নুনসহ লাগালে ব্যথা উপশম হয়।
অসিতবরণ আইচ