Today’s Covid Update: দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি, সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র


টানা তিন দিন ধরে দেশে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি পার করলেও ২৪ ঘণ্টায় তা সামান্য কমে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে হল ১৯,৬৭৩। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ২০,৪০৮। রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় কর্নাটককে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,০৮৭। এর পরে রয়েছে কর্নাটক (১,৮৮৬), কেরল (১,৫৯৫), তামিলনাড়ু (১,৫৪৮), দিল্লি (১,৩৩৩) ও পশ্চিমবঙ্গ (১,১১৩)।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এর মধ্যে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে আট জন এবং পশ্চিমবঙ্গে সাত জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে চার জন ও রাজধানীতে তিন জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে দু’জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। এ ছাড়া সিকিম, নাগাল্যাণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, অসম ও কর্নাটকে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৫৪। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৯২০।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য কমে হল ৪.৯৬ শতাংশ। শনিবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৫.০৫ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৯,৩৩৬ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৭৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে ২০৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫০৯ টিকাকরণ হয়েছে।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.