ভারতের এবার শুরু হচ্ছে ৬ – ১২ বছর বয়সী শিশুদের উপর ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল
ট্রায়াল । এর জন্য আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট
অফ মেডিকেল সায়েন্সেস(এইমস)-এ নাম নথিভুক্তকরণও শুরু হতে চলেছে আগামীকাল থেকেই।
অন্যদিকে, দেশের জনগণ
প্রায় ১৩০ কোটি। যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ১২ থেকে ১৮ বছরের বয়সসীমার মধ্যে। এবার
তাই শিশুদের টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তার জন্য নানারকম পরিকল্পনাও রয়েছে
কেন্দ্রের। মূলত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমবয়সীরাও বেশ আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যেই তৃতীয়
ঢেউও আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই ঢেউ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে আগে থেকেই তোড়জোড়
শুরু হয়েছে। তবে সমস্যা কেবল একটাই। এই দেশে এখনও শিশুদের জন্য নেই কোনও টিকা। তবে
দেশে জোরকদমে চলছে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। এক সংস্থা শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন
তৈরিতে আগ্রহও প্রকাশ করে। তার জন্য পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের অনুমতিও মিলেছে বলে এক বিশেষ
সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই বিদেশে ১২
থেকে ১৫ বছর বয়সীদের শরীরে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন মিললেও ভারতে যে পরিমাণ
ভ্যাকসিনের প্রয়োজন তা আদৌ ফাইজারের মাধ্যমে মেটানো সম্ভব কিনা এই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ
করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ফাইজার সংস্থার সঙ্গে এখনও
ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ৫ কোটি ভ্য়াকসিন পাওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।
তবে এখনও এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।