বারো বছর থেকেই টিকা প্রদান করা যেতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বেই জাইডাস ক্যাডিলার টিকা জাইকোভ-ডি দেওয়া হবে। সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
ওই সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘১২ ও তার ঊর্ধ্বে প্রয়োগের জন্য জাইকোভ-ডি’কে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আপাতত শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের সেই টিকা প্রদান করা হবে।’
সেক্ষেত্রে এখনই শিশুদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া জানিয়েছিলেন, শিশুদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না কেন্দ্র। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা বাচ্চাদের টিকাকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। শিশুদের টিকাকরণের আগে আমরা ভাবনাচিন্তা এবং পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ওরাই দেশের ভবিষ্যৎ। এই বিষয়ে আমাদের সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।’
এমনিতে দিনকয়েক আগেই জাইকোভ-ডি’র এক কোটি ডোজের বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। জাইডাস ক্যাডিলার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, কেন্দ্র প্রতিটি ডোজ ২৬৫ টাকায় কিনবে। বিশ্বের প্রথম ডিএনএ-নির্ভর করোনা টিকা জাইকোভ-ডি’র তিনটি ডোজ প্রদান করা হবে। যদিও তিনটি ডোজের ব্যবধান বেশি হয়। প্রথম ডোজের ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। তৃতীয় ডোজ মিলবে ৫৬ দিনের মাথায়। সেইসঙ্গে কোনও সূচ বা সিরিঞ্জ ছাড়াই টিকা প্রদান করা হবে। আপাতত ভারতে যে টিকাগুলি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে সিরিঞ্জ দিয়ে গ্রহীতার শরীরে টিকা ঢোকানো হয়। কিন্তু জাইকোভ-ডি’র ক্ষেত্রে একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। সেই যন্ত্রের নাম ‘ফার্মাজেট’। জিএসটি ছাড়া ডোজপিছু ‘ফার্মাজেট’-এর দাম পড়বে ৯৩ টাকা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কোভিশিল্ড আপাতত ২০৫ টাকায় কিনছে কেন্দ্র। প্রতি ডোজ কোভ্যাক্সিনের দাম পড়ছে ২১৫ টাকা।