রাশিয়ার (Russia) করোনা মোকাবিলার টিকা পাবে ভারত। বুধবার রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (RDIF)-এর তরফে এমনটাই জানানো হল। ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরিকে ভারতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও বণ্টনের জন্য স্পুটনিক ফাইভ টিকার ১০ কোটি ডোজ দেওয়া হবে। সেই মর্মে ইতিমধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রের সবুজ সংকেতের।
আরডিআইএফ থেকে জারি করা বিবৃতি বলা হয়েছে, “নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে অনুমোদন পেলে ডক্টর রেড্ডিকে টিকার ১০ কোটি ডোজ দেবে আরডিআইএফ।” আরও জানিয়েছে. স্পুটনিক ফাইভ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। ইতিমধ্যে নিরাপদ বলেও প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিললেই ২০২০ সালের শেষের দিকে ভারতে টিকা পাঠানো হবে।
আরডিআইএফ এর সিইও ক্লিরিল দিমিত্রেভ জানিয়েছেন, “ডক্টর রেড্ডি ল্যাবের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আমরা খুব খুশি। করোনায় মারাত্মকভাবে প্রভাবিত দেশগুলির মধ্যে ভারতও রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, করোনাযুদ্ধে ভারতকে সুরক্ষিত এবং বৈজ্ঞানিকভাবে বৈধ বিকল্প দেবে আমাদের অ্যাডিনোভাইরাস ডুয়াল ভাইরাস প্ল্যাটফর্ম।’ ডক্টর রেড্ডির কো-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি ভি প্রসাদ বলেন, “প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ফলাফলে আশা দেখা গিয়েছে এবং ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের প্রয়োজনীয়তা পূরণে ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করব আমরা।”
স্পুটনিক-ফাইভ (Sputnik V)। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং আরডিআইএফ (রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে গামালিয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিয়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি (Gamaleya National Research Center of Epidemiology and Microbiology)। রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী এটিই পৃথিবীর প্রথম কার্যকরী করোনা ভ্যাকসিন। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। এমনকী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনে এখনও ছাড়পত্র পর্যন্ত দেয়নি। আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের অভিযোগ, কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই টিকা তৈরির ইঁদুরদৌড়ে নিজের ক্ষমতা প্রকাশ করতে চাইছে রাশিয়া। তবে সেসব বিরোধিতায় পাত্তা না দিয়ে নিজেদের মতো ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করেছিল রাশিয়া।