“উপযুক্ত ও কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ (Corona Third Wave) থেকে দেশকে বাঁচানো সম্ভব।” এমনই মন্তব্য করলেন দেশের বিজ্ঞান উপসদেষ্টা কে বিজয় রাঘবন।
কে বিজয় রাঘবন (K Vijay Raghaban) বলেন, “আমরা যদি করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা (Safety Measure) অবলম্বন করতে পারি তাহলে দেশের সর্বত্র করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। তবে এটা নির্ভর করছে দেশের সবকটি রাজ্য, জেলা, শহর কতটা কঠোর ভাবে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে পারছে তার ওপর।”
করোনা প্রসঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব, অত্রি আহুজার সঙ্গে কে বিজয় রাঘবন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক বিইথকের সময় এই মন্তব্য করেন। এই পর্যালোচনা বৈঠকে অত্রি আহুজা (Atri Ahuja) জানান, “দেশের ১২টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সত্যি রাজ্যের করোনা সংক্রমণের হার ৫০ হাজার থেকে ১ লাখের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ১৭টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৫০ হাজারের নিচে রয়েছে।” রাজ্য ধরে হিসেবে দিতে গিয়ে অত্রি আহুজা বলেন, “মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজতার, তামিলনাড়ু, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের করোনা সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ তেলেঙ্গানা ও ঝাড়খণ্ড ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রথম দিকে করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও এখন তা ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে।”
আহুজা জানান, এখনও পর্যন্ত দেশের ১১.৮১ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৪ বছর। এই বয়েসের ১৬.৫ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে।
তবে দেখার দেশের সবকটি রাজ্য সঠিক ভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ রোখার জন্য কঠোর নিয়ম মানতে সক্ষম হয় কিনা। কেননা পশ্চিমবঙ্গে দোকান, বাজার খোলা রাখার যে নিয়ম রাজ্য সরকার করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি করেছে, সেটা রাজ্যের সর্বত্র সঠিকভাবে মণ হচ্ছে না। এমনকি যেদিন রাজ্য সরকাররের তরফে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেদিনই কসবা থানা সংলগ্ন একটি হুক্কা বার খোলা ছিল। আর সেখানে সারা রাত নেশা করে বেরিয়ে গাড়ির ধাক্কায় এক ফুটপাথবাসীকে খুন করেছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে যেখানে সরকার নির্দেশ দিয়েছে সেখানে কোন সাহসে করা এই হুক্কা বার খোলা রাখতে পারল? পুলিশ কী কিছুই জানতো না?