রাজ্যে শুরু হচ্ছে শিশুদের (clinical trial) উপর করোনা ভ্যাকসিনের (COVID-19 vaccine) ট্রায়াল। চলতি সপ্তাহের শেষে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা। পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে জাইডাস-ক্যাডিলা সংস্থার ভ্যাকসিন দিয়ে শুরু হবে ট্রায়াল।
জানা গিয়েছে, ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সীদের উপরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে। ট্রায়ালে অংশ নেবে ১০০ জন। সারা দেশের প্রায় ১৫০০ শিশুর উপর হবে এই পরীক্ষা। দেশের ৫৪টি কেন্দ্রকে এর জন্য বাছা হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি সংখ্যায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে, গতমাসে দিল্লির এইমসে দুই থেকে থেকে আঠারো বছর বয়সীদের কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। বয়সের ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করে হয় ওই ট্রায়াল।
আরও পড়ুন: এবারও গড়াবে না ৬২৫ বছরের মাহেশের রথের চাকা
এইমস সূত্রে জানানো হয়, প্রথম পর্বে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর এই ট্রায়াল হয়। দ্বিতীয় পর্বে ৬ থেকে ১২ বছর এবং তৃতীয় পর্বে ২ থেকে ৬ বছয় বয়সী শিশুদের ওপর কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়।
ইতিমধ্যেই বিদেশে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের শরীরে ফাইজারের ভ্য়াকসিন প্রয়োগের অনুমোদন মিলেছে। তবে দেশে জোরকদমে চলছে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। এক সংস্থা শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন তৈরিতে আগ্রহও প্রকাশ করে। তার জন্য পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের অনুমতিও মিলেছে বলে এক বিশেষ সূত্রে খবর। তবে ফাইজার (Pfizer) ভ্যাকসিন কেন ভারতে কমবয়সীদের উপর ব্যবহার করা হচ্ছে না? এবিষয়ে জানা গিয়েছে, ভারতে এই টিকার আমদানি নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তা রয়েছেন। ভারতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন তা আদৌ ফাইজারের মাধ্যমে মেটানো সম্ভব কিনা এই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ফাইজার সংস্থার সঙ্গে এখনও ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ৫ কোটি ভ্য়াকসিন পাওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা। তবে এখনও এই নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।