ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই টিকার অভাব দেখা দিয়েছে অনেক রাজ্যে। কোথাও টিকার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। এই অবস্থায় সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, জুলাই মাস পর্যন্ত টিকার এই অভাব দেখা যাবে।
দেশে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ার পরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষও পেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় টিকার প্রয়োজনীয়তা সবথেকে বেশি। এই প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে আদার বলেন, ‘‘জুলাই মাসের পরে ফের টিকার জোগান বাড়বে। ততদিন টিকার অভাব দেখা যাবে। জুলাই মাসের পর টিকার মাসিক উৎপাদন ৭ থেকে বেড়ে ১০ কোটি হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।’’
কিন্তু কেন হঠাৎ টিকার এই অভাব দেখা দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে আদার জানান, তাঁরা আশা করেননি এত তাড়াতাড়ি করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ চলে আসবে। সবাই ভেবেছিল ভারতের কোভিড পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। সেই কারণেই অতিরিক্ত টিকা উৎপাদন করার কোনও নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন আদার।
দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় ও কেন্দ্রের তরফে বেশি সংখ্যায় টিকা উৎপাদনের নির্দেশ দেওয়ার পরেই অবশ্য নিজের কাজ শুরু করেছে সিরাম। কিন্তু যে পরিমাণ টিকা প্রয়োজন, তা উৎপাদন করতে কিছুটা সময় লাগবে। সেই জন্যই জুলাই মাসের পর থেকে ফের টিকার উৎপাদনে গতি আসবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।