বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে তিন করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও অক্সিজেনের অভাবের কথা মানেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তদের অক্সিজেন পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য অক্সিজেন কমিটি তৈরি করা হল। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ সহ অক্সিজেন ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নজরদারি করবে। প্রতিটি হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার সেই হাসপাতালের অক্সিজেন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নজরদারি চালাবেন।
রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রতিদিন ৫৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু রাজ্য পাচ্ছে ৩০০ মেট্রিক টোনের কিছু বেশি অক্সিজেন। এর ফলে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। রাজ্যের অভিযোগ কেন্দ্রের তরফে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পাঠাচ্ছে না। এরই মধ্যে পুরুলিয়া সহ বেশ কিছু জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ যেমন জরুরি ঠিক তেমনই অক্সিজেন যাতে নষ্ট না হয় সেটাও দেখা জরুরি। কেননা রাজ্যে এখন করোনা সংক্রমিত রোগীদের অক্সিজেনের অকাল চলছে। এই কথা মাথায় রেখেই র্রাজ্যের তরফে এই অক্সিজেন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে রাজ্যে কক্রমেই বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রামগোপাল যাদবকে দ্রুত ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকার জন্য চিঠি লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এপ্রিল মাস পর্যন্ত জাতীয় করোনা টাস্ক ফোর্সের কোনও বৈঠক হয়নি। করোনা-র প্রথম ঢেউ সঠিক ভাবে কেন্দ্র মোকাবিলা করতে না পাড়ার জন্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। এই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। বিরোধীদের মোতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ব্যর্থতার জন্যই আজ দেশে করোনা পরিস্থিতি এই ভয়ঙ্কর জায়গায় ওয়াচে গেছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্র এর মধ্যে ভ্যাকসিন ও অক্সিজেন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে অক্সিজেন পরিষেবা ঠিক রাখতে ও অপচয় অপচয় বন্ধ করতে রাজ্য সরকার কমিটি গঠন করল।
তবে এরই মধ্যে রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের থেকে রোগীর শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ফ্লো মিটার প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যে ফ্লো মিটার পর্যাপ্ত পাওয়া যাচ্ছে না। কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ফ্লো মিটার। ১২০০ টাকার ফ্লো মিটার ঘুরপথে ৯০০০ টাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে কিনছেন। অক্সিজেন কমিটি এই বিষয়টাও দেখবে বলে জানা যাচ্ছে।