করোনা সংকটে ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধছিল রাজনৈতিক দলগুলো। অবশেষে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি ভ্যাকসিনের দাম কমানোর জন্যে পুনে-ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রধান আদর পুনাওয়ালাকে অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে রাজ্যের জন্য প্রতি ডোজ পিছু কোভিশিল্ডের দাম ১০০ টাকা কমাল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এবার থেকে ৪০০ টাকার পরিবর্তে প্রতি ডোজ কোভিশিল্ড কেনার জন্য রাজ্যগুলিকে দিতে হবে ৩০০ টাকা।
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা ট্যুইট করে বলেন, ‘জনগণের কল্যানকর কাজের জন্যে আমি সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ডোজ পিছু কোভিশিল্ডের দাম ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করছি। যা এখন থেকেই কার্যকরী হবে। এর ফলে রাজ্য়গুলির কয়েক হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। যা জনহিতকর কাজে ব্যবহার হবে এবং টিকাকরণের পথ প্রশস্ত করবে এবং অসংখ্য জীবন বাঁচিয়ে তুলবে।’
উল্লেখ্য, পুনে-ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ২১ এপ্রিল ঘোষণা করেছিল যে তারা বেসরকারী হাসপাতালের জন্য ডোজ প্রতি তাদের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৬০০ টাকা এবং রাজ্যের জন্য ডোজ প্রতি ৪০০ টাকা। কেন্দ্র অবশ্য প্রতি ডোজ টিকা পাবে আগের নির্ধারিত মূল্য অর্থাৎ ১৫০ টাকাতেই। উৎপাদনের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের টিকাকরণ কর্মসূচিতে বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সরবরাহ করা হবে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের দাবি, বিদেশে যা দাম তার থেকে অনেক কম দামে টিকা দিচ্ছে তারা। সংস্থার দাবি, বিদেশে প্রতি ডোজ টিকার দাম সাড়ে ৭০০ থেকে দেড় হাজার টাকা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকার দর নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, এক দেশ, এক দল, এক নেতৃত্বের কথা বলে বিজেপি। কিন্তু জীবন বাঁচাতে এক দরে টিকা দিতে পারে না। প্রতিটি ভারতীয়ের বিনামূল্যে টিকা প্রয়োজন। বয়স, জাতি, গোষ্ঠী, ভৌগলিক এলাকা নির্বিশেষে টিকার একটিই দাম নির্ধারণ করা উচিত। রাজ্য ও কেন্দ্রের জন্য দু’টি আলাদা দর হওয়া উচিত নয়।