আগামী অক্টোবরে ভারতের হাতে করোনাভাইরাস টিকার ৩০ কোটি ডোজ চলে আসবে। এমনটাই দাবি করলেন টিকাকরণ নিয়ে ন্যাশনাল টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের (এনটিএজিআই) করোনা সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এন কে অরোরা। সেইসঙ্গে তাঁর আশা, ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাইয়ে দেশে ১৩.৫ কোটি ডোজ পাওয়া গিয়েছে। যে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ানো হবে বলে দাবি করা হয়েছে। বুধবার অরোরা জানান, অগস্টে ভারতের হাতে ১৫ থেকে ১৮ কোটি ডোজ চলে আসবে। সেপ্টেম্বরে তা ২০ কোটি এবং অক্টোবরে ৩০ কোটির স্তরে পৌঁছে যাবে। তবে কোন কোন টিকা কতটা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি অরোরা। তিনি শুধু বলেন, ‘আমাদের (ওই বর্ধিত পরিমাণ টিকা দেওয়ার) ক্ষমতা আছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৭৫,০০০ টিকাকরণ কেন্দ্র আছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক ১৫০ ডোজ প্রদান করা যেতে পারে। গ্রামীণ এলাকায় টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাস থেকে ৬০ শতাংশ ডোজ গ্রামীণ এলাকার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সেই বর্ধিত প্রতিষেধক হাতে আসার দাবির মধ্যেও কেন্দ্রের টিকানীতি নিয়ে সমালোচনা থামছে না। স্বাস্থ্য বিষয়ক অর্থনীতিবিদ রিজো এম জন তো সরাসরি টিকা কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের শম্বুক গতির মনোভাবের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ বরাতও দেওয়া হয়নি। এর থেকেই কতটা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে।’ এমনিতেই সম্প্রতি রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছেন, এতদিন যত ডোজ টিকা নেওয়া হয়েছে, তার ৬৬ শতাংশের বরাতই দেওয়া হয়েছে চলতি মাসের মাঝামাঝি। গত ১৬ জুলাই এইচএলএল লাইফকেয়ারকে ৬৬ কোটি টিকার ডোজের বরাত দেওয়া হয়েছে। মে’র আগে ১৮.৬ কোটি ডোজের বরাত দিয়েছিল কেন্দ্র। তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরুর সময় আরও ১৬ কোটি ডোজের বরাত দেওয়া হয়েছিল।