কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের জেরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন ভুয়ো আইএএস অফিসার সহ মোট তিনজন। তবে এই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জারি করা হল নতুন নির্দেশিকা। এবার থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া অথবা নেওয়ার ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা মেনে চলতেই হবে।
এমনিতেই কেউ ভুয়ো ভ্যাকসিন অথবা ভ্যাকসিন সেন্টারের পাল্লায় পড়েছে কিনা তা সাধারণ ভাবে বোঝা খুব মুশকিল। তবে সরকারি অথবা সরকার প্রদত্ত বেসরকারি ভ্যাকসিন সেন্টারে যদি নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলে তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারা যায়, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কোনও রকম জালিয়াতি হয়নি। এই সকল নানান দিক বিবেচনা করেই রাজ্য সরকারের তরফে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইন পোর্টাল অথবা কোভিড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যেন কোনওভাবেই কোনও ব্যক্তি ভ্যাকসিন না নেন। অর্থাৎ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে দেখে নিতে হবে তিনি সরকারি ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করছেন কিনা। সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন হলে আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে সরকারিভাবে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন এবং নেওয়ার তথ্য প্রদান করা হবে। এই তথ্য ছাড়া আর ভ্যাকসিন দেওয়া অথবা নেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর বিরোধীরা নানান প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। সরকারের গাফিলতির দিকে আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। এমনকি এই ঘটনায় আমজনতা ছাড়াও একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।