অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে আসবে করোনার ভ্যাকসিন, এবার দাবি মার্কিন সংস্থার

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ট্রায়াল রিপোর্টের পর এবার ফাইজার (Pfizer Inc) টিকার ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলেও প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় ফাইজারের টিকার স্কোরকার্ড ভালই। মার্কিন ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থা মর্ডানার পরপরই ফাইজার টিকার কাজে নেমেছিল। এবং জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সকলকে চমকে দিয়ে তারা জানিয়েছিল তৃতীয় বা অন্তিম পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর টিকাকরণের কাজ করার কথা ভাবা হয়েছে। কাজও সেই মতো শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশা, সব ঠিক থাকলে অক্টোবরেই বাজারে টিকা নিয়ে হাজির হবে ফাইজার।

প্রথম দফায় যাঁদের টিকা দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করেছে বলে জানান ফাইজারের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালবার্ট বোরলা। তিনি বলেন, তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল চালাচ্ছে ফাইজার। অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির কাছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। ছাড়পত্র পেলেই বাজারে আসবে ভ্যাকসিন। ফাইজারের এই দাবি খানিকটা চমকপ্রদ। কারণ, এতদিন মার্কিন সংস্থাগুলির মধ্যে মডার্নাই ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাশিয়া পৃথিবীর প্রথম করোনার টিকা আবিষ্কারের দাবি করে ফেলেছে। এক চিনা সংস্থাও দাবি করেছে, তাঁদের তৈরি করোনার টিকা কার্যকরী এবং উপযোগী। এবার পিছিয়ে রইল না এই মার্কিন সংস্থাটিও।


জার্মান বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োএনটেকের (BioNTech SE) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মর্ডানার মতো আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) টেকনোলজিতে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে ফাইজার। মডার্নার দুই ডোজ টিকার দাম হাজার খানেক টাকা। সে জায়গায় অক্সফোর্ড টিকা দেবে ২২৫ টাকায়। ভারতের কোভ্যাক্সিনের দাম ১০০ টাকার কম হবে বলেই ধারণা। যদিও ফাইজারের টিকার দাম কত হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, ট্রাম্পের সরকার ইতিমধ্যেই এই সংস্থার সঙ্গে মোটা অঙ্কের চুক্তি করে ফেলেছে। এদের তৈরি টিকার বেশিভাগটাই কিনে নিতে চায় আমেরিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.