সন্তানের বয়স কি ১২ বছর? কিংবা তার বেশি? তবে অবশ্যই সেও যেন প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরে। সম্প্রতি এমনই গাইডলাইন জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বাচ্চার বয়স ১২ বছরের কম হলে আবার নিয়ম অন্য।
গত ২১ আগস্ট WHO-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই নয়া নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। WHO এবং ইউনিসেফ (UNICEF)-এর তরফে জানানো হয়েছে, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বাইরে বেরলেই মাস্ক পরা আবশ্যক। অন্যদের থেকে এক মিটার দূরে থাকলেও মুখে রাখতে হবে মাস্ক। একইসঙ্গে সংক্রমক এলাকায় যাতে তারা মুখ থেকে মাস্ক না নামায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আর সন্তানের বয়স ৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে হলে সব ক্ষেত্রে মাস্কের প্রয়োজন নেই। তবে এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে অভিভাবকদের। অতি সংক্রমণপ্রবণ এলাকা বা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, এমন জায়গায় ছেলে-মেয়েদের মুখে মাস্ক পরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া দেখতে হবে মাস্ক পরলে তাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না কিংবা মুখে ঠিকমতো মাস্ক চেপে বসছে কি না। মহামারীর সময় এই বয়সের বাচ্চাদের চোখে চোখে রাখা বিশেষ জরুরি বলেই জানাচ্ছে WHO ও ইউনিসেফ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানাচ্ছে, যাঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছে, তাঁদের থেকে এই বয়সের ছেলে-মেয়েদের দূরে রাখাই শ্রেয়।
আর সন্তানের বয়স যদি হয় পাঁচ বছর কিংবা তার কম? WHO বলছে সেক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য সাধারণত মাস্কের প্রয়োজন পড়ে না। প্রয়োজন বুঝে ব্যবহার করলেও হবে। কারণ গবেষণা বলছে, এদের চেয়ে বয়সে বড় ছেলে-মেয়েদের শরীরেই সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা বেশি তৈরি হয়।
উল্লেখ্যে, গত ৫ জুন হু জানিয়েছিল, সংক্রমণ থেকে প্রত্যেকেরই বাড়ির বাইরে মাস্ক পরা প্রয়োজন। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্য আলাদা কোনও গাইডলাইনের কথা বলা হয়নি। এবার বয়স অনুযায়ী মাস্কের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।