চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। দেশে করোনায় মৃত্যু হার আরও খানিকটা কমল। মঙ্গলবার দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় মৃতের হার (fatality rate) শতকরা ২.৪৩ শতাংশ। কোভিড ১৯–এ মৃতের শতকরা হারে সবথেকে কম ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির মধ্যে বর্তমানে অন্যতম ভারত। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওএসডি রাজেশ ভূষণ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন, “প্রতি দশ লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যুর হারে এখনও বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ভাল জায়গায় আছে দেশ।”
মৃত্যুর হার নিয়ে স্বস্তিতে থাকলেও দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে যে আরও বেশি করোনা পরীক্ষা প্রয়োজন, তা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। রাজেশ ভূষণ এদিন জানান,”কোভিড-১৯ (Covid-19) পজিটিভিটি রেট কমাতে হলে আমাদের আরও বেশি বেশি পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য টেস্টিংকে এমন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া, যাতে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫ শতাংশেরও কম হয়।” স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওই কর্তা জানান, এই মুহূর্তে দেশের ১৯ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল WHO-এর বেঁধে দেওয়া গাইডলাইনে অর্থাৎ প্রতি দশ লক্ষে ১৪০ জনের বেশি করোনা পরীক্ষা করে ফেলেছে। তাছাড়া মোট ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনার পজিটিভিটি রেট কেন্দ্রীয় গড়ের থেকে কম।
উল্লেখ্য, দেশের কম মৃত্যুহার কে শুরু থেকেই নিজেদের সাফল্য বলে দাবি করে আসছে সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) একাধিক জাতীয় এবং প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ভারত করোনা যুদ্ধে বিশ্বের অনেক দেশের থেকেই এগিয়ে। দেশের মৃত্যুহারই তার প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবি যে খুব একটা ফেলনা নয়, তা রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে প্রমাণ হয়ে গেল। যদিও, বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, দেশে মৃতের সংখ্যা নিয়ে সরকার মিথ্যে কথা বলছে। বহু করোনা মৃত্যুর খবর গোপন করা হচ্ছে।