দিনদিন দাপট বাড়িয়ে চলছে COVID-19। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। এরই মধ্যে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে আশার বাণী শোনা গেল। দুই মার্কিন সংস্থা Moderna Inc এবং Pfizer Inc দাবি করল, চলতি বছরের শেষের দিকেই তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে যাবে। এই দুটি সংস্থাই আলাদা আলাদা করে ৩০ হাজার মানুষের শরীরে ‘বৃহৎ’ আকারে ট্রায়াল শুরু করেছে। এর আগে বিশ্বের কোনও সংস্থা এত বেশি মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেনি।
গত ১৬ মার্চ বিশ্বের প্রথম সংস্থা হিসেবে করোনা ভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন’ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে মডের্না (Moderna Inc)। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ‘ভ্যাকসিনের’ ডবল ডোজ দেওয়া হয়। মার্কিন সংস্থাটির দাবি, ‘প্রথম পর্যায়ের সেই ট্রায়াল সফল হয়েছে। যাদের শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। তাছাড়া যাদের উপর পরীক্ষা হয়েছিল, তাঁদের কারও শরীরেই তেমন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। সামান্য মাথাযন্ত্রণা, বমিভাব, খিঁচুনি এবং ব্যাথা ছাড়া আর কোনও সমস্যাই দেখা যায়নি।” মডের্না জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল পাওয়ার পর এবার বড় আকারে ট্রায়াল শুরু হবে। সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই প্রায় ৩০ হাজার মানুষের শরীরের এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে সংস্থাটি। একই পথে হেঁটেছে Pfizer Inc’ও।
আশ্চর্যের বিষয় হল যে Moderna Inc করোনা ভ্যাকসিনের দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে আছে, তাঁরা এর আগে কোনওদিন কোনও নতুন ভ্যাকসিন তৈরিই করেনি। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন এই সংস্থাটিকে উৎসাহ দিয়েছে। মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্যও করেছে। আরেক সংস্থা Pfizer Inc’র সঙ্গে আবার আমেরিকা সরকার চুক্তিও সেরে ফেলেছে। সংস্থাটি ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার পর প্রথম ৫ কোটি বিক্রি করবে মার্কিন প্রশাসনের কাছে। এবং এর জন্য তাঁরা পাবে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।