চিনের পরে এবার ব্রিটেন। নিউমোনিয়ার পরে এবার সোয়াইন ফ্লু। আতঙ্কের দিন যেন শেষ হচ্ছে না। সম্প্রতি চিনের রহস্যময় নিউমোনিয়া গোটা বিশ্বে আতঙ্কের আবহ তৈরি করেছে। এতটাই যে, এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এর পাশাপাশি এবার নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করল সোয়াইন ফ্লু। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাই।
উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই পরিস্থিতি। কেননা, এতদিন সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে শূকরের আক্রান্ত হওয়ার খবরই শোনা যেত। এবার কিন্তু সরাসরি মানবদেহে মিলল এই ভাইরাস! সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের হদিস মিলল মানুষের শরীরে।
গতকাল, সোমবার ব্রিটেনে এক ব্যক্তির দেহে সোয়াইন ফ্লু-র নয়া স্ট্রেন [A(H1N2)v] পাওয়া গিয়েছে। এতদিন এই ভাইরাস শূকরের দেহে ছড়াত। এদিনই প্রথম মানবদেহে এই ভাইরাসের হদিস মিলল। খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা ‘ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি’ (UKHSA)। ব্রিটেনে নিয়মমাফিক ফ্লু পরীক্ষা করতে গিয়েই মানবদেহে এই ভাইরাসের হদিস মিলল।
তবে নতুন এই স্ট্রেনটি এর আগে প্রাপ্ত সোয়াইন ফ্লু-র স্ট্রেনগুলির সঙ্গে জিনগতভাবে সম্পর্কযুক্ত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ‘ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি’।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি, তাঁর তেমন কোনও উপসর্গও দেখা দেয়নি। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করিয়েই তিনি সুস্থ হয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার অধিকর্তা বলেছেন, শূকরের দেহে যে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ায়, সেই একই প্রজাতির ভাইরাসের হদিস মিলেছে মানুষের শরীরে। এটা চিন্তার। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
২০০৯ সালে H1N1 ভাইরাসের জেরে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। যা সাধারণত ‘সোয়াইন ফ্লু’ হিসেবে পরিচিত। শূকর প্রজাতির মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের প্রজাতি হল– H1N1, H1N2। তবে মানবদেহে এরা সে সময় কোনও সংক্রমণ ঘটায়নি। মানবদেহে এরা সাধারণত সংক্রমণ ঘটায় না। কীভাবে এবার এই ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হল, তা স্পষ্ট নয়। আর বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলেই সেটা এতটা চিন্তার।