দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন নিয়ে প্রথমথেকেই চিন্তা ছিল বিশেষজ্ঞদের। এ বার তা আরও বাড়িয়ে তুলল ওমিক্রনের নয়া রূপ। যাকে ‘স্টেলথ ওমিক্রন’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, ওমিক্রনের সাম্প্রতিকতম রূপটি প্রাথমিকের চেয়েও আরও বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৫৭ টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের এই নতুন রূপটি।
কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছিল। তারপর তা দ্রুতগতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ডেল্টাকে সরিয়ে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন ‘ডমিন্যানন্ট ভ্যারিয়্যান্ট’ হয়ে উঠেছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই ওমিক্রনের নয়া রূপ ‘স্টেলথ ওমিক্রন’-এর সংক্রমণ ক্ষমতা ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপের চেয়েও বেশি।
আমেরিকার কয়েকজন অতিমারি বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, যে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে যেমন শ্বাসযন্ত্র ও ফুসফুসজনিত নানা সমস্যা দেখা দেয়, ওমিক্রনের এই নয়া রূপটির ক্ষেত্রে কিন্তু মূলত পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে ‘স্টেলথ ওমিক্রন’-এ আক্রান্ত হলেও অনেকেই তা বুঝতে পারছেন না।
স্টেলথ ওমিক্রনের ক্ষেত্রে নাক, মুখ বা ফুসফুস দিয়ে প্রবেশ করলেও তা সরাসরি অন্ত্রে প্রভাব ফেলে।
স্টেলথ ওমিক্রনের ক্ষেত্রে নাক, মুখ বা ফুসফুস দিয়ে প্রবেশ করলেও তা সরাসরি অন্ত্রে প্রভাব ফেলে।
ছবি: সংগৃহীত
তবে শুধু যে ‘স্টেলথ ওমিক্রন’ নয়, ডেল্টার ক্ষেত্রেও পেটের গন্ডগোল দেখা দিয়েছিল এবং দিচ্ছে। তবে ওমিক্রনের এই নতুন রূপটির ক্ষেত্রে বিশেষ ছ’টি সমস্যা আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে।
১) বমির ভাব।
২) ডায়রিয়া।
৩) বমি।
৪) পেটে ব্যথা।
৫) অম্বল।
কোভিড বা ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ভাইরাস সরাসরি শ্বাসযন্ত্র দিয়ে প্রবেশ করে সেখানেই সবার আগে আঘাত করে। কিন্তু স্টেলথ ওমিক্রনের ক্ষেত্রে নাক, মুখ বা ফুসফুস দিয়ে প্রবেশ করলেও তা সরাসরি অন্ত্রে প্রভাব ফেলে। ফলে আরটিপিসিআর বা অ্যান্টিজেন পরীক্ষাতেও সময়ে তা তা অনেক সময় না-ও ধরা পড়তে পারে।
পেটের সমস্যা ছাড়াও ওমিক্রনের এই নতুন রূপটির প্রাথমিক দুটি লক্ষণ হল মাথা ঘোরা এবং ক্লান্তি। এ ছাড়াও জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, দ্রুত হৃদ্স্পন্দনের মতো কিছু উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।
ওমিক্রনের মতোই বা তার চেয়ে কিছুটা বেশিই সংক্রামক এই ‘স্টেলথ ওমিক্রন’। ফলে বিগত দু’বছর ধরে যা যা সুরক্ষাবিধি মেনে চলে আসা হয়েছে সেগুলিই মেনে চলা প্রয়োজন। অর্থাৎ মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং অবশ্যই করোনা টিকা নিয়ে নেওয়া।