স্বাস্থ্যপরিষেবা এবং বিশেষ করে চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যাপারে ভারতবর্ষের অন্য অধিকাংশ রাজ্যের থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির গোড়ার দিক থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় রাজনীতিতে মহীরুহ ছিলেন। চিকিৎসক পরিচয়েও তাই, কিন্তু এই অগ্রণী ভূমিকার প্রধান কারণ বিধানচন্দ্রই ছিলেন— তেমনটাও কিন্তু নয়। রাজধানী কলকাতার মেডিক্যাল কলেজসমূহ এবং সংলগ্ন হাসপাতালগুলোর পরিষেবা ছিল অত্যন্ত উন্নতমানের। কলকাতার বাইরে মফস্সল শহরে বা পল্লীগ্রামে অবশ্য চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ অন্য রকম।বিভিন্ন স্থানে হাতে গোনা ডিগ্রিধারী এমবি বা ডিপ্লোমাধারী এলএমএফ ডাক্তারের দেখা মিললেও রোগীদের সহায় ছিলেন কোয়াক চিকিৎসক– হোমিওপ্যাথ, আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি ডাক্তাররা। তখন অবশ্য বিদ্যাঙ্গনের শিক্ষকদের মতো চিকিৎসকরাও তাদের বৃত্তিকে এখনকার মতো ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতেন না এবং গৃহ চিকিৎসক ব্যাপারটা চালু ছিল—তাই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের তুলনায় গত শতকের পঞ্চাশ-ষাট দশকে ব্যবস্থা অনেকটাই পিছিয়ে থাকলেও রোগী এবং তাদের পরিজনরা এখনকার মতো অসহায় বোধ করতেন না। তার বড় কারণগুলোর মধ্যে আরও দুটো বিষয় ছিল—-চিকিৎসায় ব্যবসা এবং রাজনীতির অনুপস্থিতি।
রাজ্য প্রশাসনের চিকিৎসা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রীসভায় দক্ষ স্বাস্থ্যমন্ত্রী অজিত পাঁজার নেতৃত্বে। স্মৃতির পাতা ওল্টালে নজরে আসতে পারে এই সৎ, দক্ষ রাজনীতিক, হাইকোর্টের ব্যারিস্টার এবং সফল প্রশাসক অজিত পাঁজার হাত ধরেই মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় মমতার কৃতকর্মের ফলেই এই দক্ষ কেন্দ্রীয় ও রাজ্যমন্ত্রী প্রয়াণকালে কলকাতা কর্পোরেশনের সামান্য কাউন্সিলর ছিলেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার পরিমণ্ডলটা এতদিন ছিল মোটামুটি পর্যায়ের। ব্যাপারটা ‘ম’ হতে শুরু করল বামফ্রন্ট যখন সমাজ ও শাসনব্যবস্থার সব কিছুই রাজনীতির জালে তুলতে শুরু করল। শ্রমিক, শিক্ষক, নিম্নবর্গের সরকারি কর্মচারিরা কংগ্রেস আমলেই নানা দাগের বামপন্থী ছিলেন। কিন্তু ডাক্তারবাবুরা এতদিন পুরোপুরি রাজনীতির আবহের বাইরে ছিলেন, কারণ জীবনমরণের কান্ডারি ডাক্তারবাবুর সঙ্গে রোগীর সম্পর্কটা এমনই যে তার ফাঁকে লাল নাকটা গলানো যাচ্ছিল না। সিদ্ধার্থশঙ্করের আমলেই সরকারি ডাক্তাররা এমন একটি সংগঠন গড়েছিলেন যার অন্যতম নীতিই ছিল রাজনীতির ছোঁয়া এড়িয়ে চলা। সরকারি অপদার্থতা, আমলাতান্ত্রিক মনোভাব এবং জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের অনুপস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা জনসাধারণের সেবায় প্রকৃষ্টরূপে নিয়োজিত ছিল না। এর প্রতিকারের জন্যই ছিল ডাক্তারদের এই সংগঠন। সদস্যদের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যটা মুখ্য ছিল না। সিদ্ধার্থশঙ্করের সরকার এই সংগঠনের দুই বেয়াড়া নেতাকে বরখাস্তও করে। তখন বামপন্থীরা সংগঠনের দাবি দাওয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল এবং ক্ষমতায় এসে এই দুই ডাক্তারকে চাকরিতে পুনর্বহালও করে।
কিন্তু গোটা সমাজ ও শাসন ব্যবস্থাকেই তো বামপন্থীরা তাদের চেতনায় জারিত করতে বদ্ধপরিকর তাই ডাক্তারদের বেয়াদবি তাদের সহ্য করার কথা নয়। একের পর এক ডাক্তার ও জুনিয়ার ডাক্তারদের ধর্মঘটে ক্রুদ্ধ ও ব্যতিব্যস্ত হয়ে সিপিএম সরকারি ডাক্তারদের একটি লাল ধামার নীচে আনার প্রচেষ্টা শুর করল সংগঠনটিকে ভাঙার প্রচেষ্টার মাধ্যমে। সংগঠনের সভাপতি স্বয়ং ছিলেন লালজামাপরা, সঙ্গীসাথিও জুটতে লাগল। অবশেষে ১৯৮৪ সালের ২৪ জুন তারিখে মৌলালি যুবকেন্দ্রে এরাজ্যের ও ত্রিপুরার দুই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও নৃপেন চক্রবর্তীর মতো নেতাদের চাঁদের হাটে প্রতিষ্ঠিত হলো অনুগত সরকারি ডাক্তারদের সংগঠন। স্বাভাবিক নিয়মেইক্রমে অরাজনৈতিক সংগঠনটি সদস্য সংখ্যার নিরিখে পিছিয়ে পড়তে থাকল। সর্বগ্রাসী বামপন্থীরা কিন্তু এখানেই থেমে থাকল না। ১৯৯০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিধিকে অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক ভাবে অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধন করে বেয়াড়া ডাক্তারদের পথে আনার ব্যবস্থা করা হলো। ডাক্তাররা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত দৌড়োদৌড়ি করেও পেরে উঠলেন—উন্নতশির কয়েকজন চাকরি ছাড়লেন, নাচার বাকিরা লাল জাল মারফত রক্তিম খালুইতে স্থান পেলেন। সেই যে সরকারি ডাক্তারদের রাজনীতির মাঠে লাল জার্সি গায়ে খেলতে নামানো হলো এবং কোচিং করানোর জন্য বেশ কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তারকেও পাওয়া গেল —তার বিষময় ফল আজ পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। নন্দীগ্রাম কাণ্ডের বহু আলোচিত আখরোজা বিবির নাম অনেকেরই মনে আছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছিল তাঁকে এবং তার সামনেই সিপিএম ক্যাডাররা তার দুই কন্যাকেও বলাৎকার করে, কিন্তু সরকারি ডাক্তাররাই কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে। সাক্ষ্যে বলেছেন (১) হাসপাতালে মহিলা ডাক্তার ছিল না বলে যোনিরস সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি এবং অবিশ্বাস্য হলেও (২) বিবাহিতা ও সন্তানের জননী ধর্ষিতা হলেও বোঝা যায় না। নারীত্ব এবং মানবিকতার এত বড় অপমান সম্ভব হয়েছিল ডাক্তারদের রাজনীতিকরণের জন্যই।
বিরোধী নেত্রীর অবস্থানে এবংমুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রথম দিকে মমতা ব্যানার্জি সরকারি ব্যবস্থা এবং বিশেষ করে স্বাস্থ্যদপ্তরের রাজনীতি নিয়ে গালভরা কথা বলতেন। আসরে নেমেই তিনি দলবল ও সাংবাদিকনিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। তখন তাঁর ডাকসাইটে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিনা অপরাধে বিশিষ্ট স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ শ্যামাপদ গড়াইকে সাসপেন্ড করা এবং দক্ষ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অরুণ সিংহকে রাজ্য ছাড়া করা। তেড়েফুড়ে শুরু করে পরবর্তীকালে তিনি প্রশাসনের সর্বত্রই তার স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতির রং লাগাতে শুরু করলেন। তাঁর দ্বিতীয় দফার শাসনকালে আরেকটি মহান কৃতিত্ব হলো রোগীর মৃত্যুর কারণ ‘ডেঙ্গি’ বলে উল্লেখ করার অপরাধে ডাঃ অরুণাচল দত্ত চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা। ডাঃ গড়াই ঝুলন্ত অবস্থাতেই অবসরসীমা পেরিয়েছেন, ডাঃ দত্তচৌধুরিও তার কাছাকাছি চলে এসেছেন।
ইতিমধ্যে এই দপ্তরে তিনি যে কটি কাণ্ড ঘটিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো রাজ্যজুড়ে গোটা চল্লিশেক হাসপাতাল প্রাসাদ তৈরি করা নামকরণে multisuperspeciality hospital বটে, কিন্তু সেখানে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীবাড়ন্ত, কিছুদিন আগেই প্রচারিত একটি সংবাদে জানা গেল এমন একটি হাসপতাল থেকেই এক সাধারণ প্রসূতিকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেফার করা হয়েছে। তেমনই এখন রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সতেরো কিন্তু সেখানেও শিক্ষকদের দেখা মেলা ভার। সল্টলেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের ঝ চকচকে অফিস আছেকিন্তু পরিচিত এক সরকারি ডাক্তারকে দফতরের মন্ত্রীর নাম জিগ্যেস করায় কৌতুকের ঢঙে উত্তর পেলাম—“স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই’। আছেন এক প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কিন্তু টেলিভিশন-বিতর্ক, সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই অফিসের সামনে ধরনা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ব্যতিব্যস্ত থাকায় দপ্তরের কক্ষ এবং কাঠি নাড়ানাড়ির কাজটা করেন দুই ডাক্তারি ডিগ্রিধারী জনপ্রতিনিধি বিধায়ক নির্মল মাজি এবং সাংসদ শান্তনু সেন—স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাদ্বয় বোধহয় সইটই করেন। আর রাজনীতির চালচিত্রটা বেশ রংবেরঙের। শতকরা ষাটভাগ চিকিৎসকই এখন শাসক দলের ঝান্ডার নীচে হুড়োহুড়ি করছেন। সিপিএমের সংগঠনটির এখন হাড়জিরজিরে অবস্থা সদস্য সংখ্যা ৩০/৩৫ জন। অরও দু’একটা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংগঠন গড়ে উঠেছে—এক সরকারি ডাক্তার তো সরকারি চাকরিরত অবস্থাতেই গত লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। আর পশ্চিমবঙ্গের আজকের রাজনীতির কঙ্কালসার অবস্থান প্রমাণ দিতে আদি অরাজনৈতিক সংগঠনটি প্রায় সদস্যহীন অবস্থায় কোনওরকমে অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। ফলে রোগী তাদের পরিজনবর্গ এবং জনসাধারণ প্রত্যক্ষ করছে যে সরকারি ডাক্তাররা অসুখ বিসুখ বা ওষুধপত্তরের থেকে দলীয় রাজনীতির চর্চাই বেশি করছেন।
এ তো গেল অতীত ও বর্তমানের কাহিনি। এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ভাবতে হবে সরকারি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল সাধারণের পরিত্রাণের উপায় কী?
কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে একটি ছোটখাটো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য এবং স্বল্পমেয়াদে বেঁধে দেওয়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন স্বাস্থ্যকমিশন নিয়োগ করে। কমিশনের প্রধান সদস্যগণ হবেন। অবশ্যই আধুনিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য এবং ঔষধ বিজ্ঞানের বরিষ্ঠ ব্যক্তিগণ—সঙ্গে এই বিষয়ে চর্চারত সুশীল সমাজের দু’একজন বিশিষ্টকেও রাখা যেতে পারে। তবে আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি প্রভৃতি দেশজ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতিনিধিদেরও সদস্যদলে রাখতে হবে। কারণ এদেশে এবং বিশেষ করে এরাজ্যে আধুনিক চিকিৎসকগণ এঁদের ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চান না। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের আলমা আটা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ঐতিহাসিক সুপারিশ ছিল পৃথিবীর সব দেশ যেন। নিজ নিজ দেশজ পদ্ধতির বিকাশ ও বিস্তারের ব্যবস্থা করে। এই পরামর্শ গ্রহণ করে সর্বাধিক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছে চীন এবং সেদেশে ছোটবড় সব চিকিৎসালয়েই দেশজ পদ্ধতিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আধুনিক পদ্ধতির পাশাপাশি এবং এতে যে কাজটা হয়েছে সেটা হলো সাধারণ রোগীদের দেশজ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে পারলে হাসপাতালের চাপ। অনেকটা লাঘব হয় এবং আধুনিক পদ্ধতির ডাক্তাররা অধিকতর মনযোগ সহকারে কঠিন রোগের চিকিৎসা করার সুযোগ পান। ভারত সরকারও এই পরামর্শ গ্রহণ করে সব রাজ্যকেই আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
দ্বিতীয় যে সমস্যাটির প্রতি সরকারের বিশেষ নজর দিতে হবে তা হল পল্লী অঞ্চলে চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য পরিষেবার ঘাটতি। ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি সুচিন্তিত প্রতিনিধি সংবলিত শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। এটির সদস্যমণ্ডলীতে ছিলেন সারা ভারতের তেরোজন বিশেষজ্ঞ (এরাজ্যের দুজন বিশিষ্ট রাজনীতিক ডাক্তারসহ), আরও তিনজন আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞ এবং নয়াদিল্লির এইমসের সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিন ছিল সাহায্যকারী সংস্থা। গ্রামাঞ্চলের জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তার সুপারিশ এই টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের একটি প্রধান অংশ ছিল। কারণ, প্রথমত, এমবিবিএস ডাক্তারদের দিয়ে এত বড় দেশের রোগীদের সুশ্রুষা সম্ভব নয় এবং দ্বিতীয়ত, আধুনিক মেডিক্যাল কলেজে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ট্রেনিং নিয়ে এমবিবিএস-রা গ্রামেগঞ্জে নানা অভাব অসুবিধের মধ্যে কাজ করতে অস্বস্তিবোধ করেন এবং সরকারি চাকরি নিতে রাজি হন না। আগেকার LMF ডিপ্লোমা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল কিন্তু সেই ডাক্তাররা অধীত বিদ্যার বাইরে গিয়েও চিকিৎসা করায় সমস্যা হয় এবং ১৯৬৪ সালে প্রথাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাস্ক ফোর্স তাই পরামর্শ দিয়েছিল চিকিৎসার সীমারেখাও নির্দিষ্ট করার জন্য। এই পরামর্শ গ্রহণ করে। কয়েকটি রাজ্য স্বল্পমেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করে উপকৃতও হয়েছে। বামফ্রন্ট সরকার এ সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে The West Bengal Rural Health Regulatory Authority Act, ২০০৯ পাশ করিয়েছিল, কিন্তু পরে পিছিয়ে আসে। তাছাড়া বামফ্রন্ট পল্লীগ্রামের কয়েকশো পাশকরা চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগও করেছিল। স্বাস্থ্য কমিশনকে বলা যেতে পারে এই প্রকল্প দুটিকে পর্যালোচনা করে যথাযথ সুপারিশ করতে।
বলাইচন্দ্র চক্রবর্তী
2019-11-01