সল্টলেক স্টেডিয়ামের পর এ বার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে সেফ হোমে রূপান্তরিত করল রাজ্য সরকার। করোনা মোকাবিলায় শয্যার আকাল মেটাতেই এই পদক্ষেপ। সরকারি সূত্রে খবর, শুধু নেতাজি ইন্ডোর নয়, ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামেও সেফ হোম চালু করা হচ্ছে। ফলে কোভিড চিকিৎসায় এক ধাক্কায় রাজ্যে ৬০০ শয্যার সংখ্যা বেড়ে গেল। রাজ্য সরকার ও আমরি হাসপাতালের সহায়তায় এই সেফ হোমগুলো তৈরি করা হয়েছে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই আবহে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা পাওয়া যাচ্ছে না। সময়মতো শয্যা না পাওয়ায় মৃত্যু হচ্ছে অনেক রোগীর। এর থেকে রেহাই পেতে যতটা সম্ভব শয্যার সংখ্যা বাড়াতে চায় রাজ্য সরকার। তাই জায়গা বেশি পাওয়ার জন্য অনেক স্টেডিয়ামকেই সেফ হোম রূপে ব্যবহার করতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার সরকারি তরফে জানানো হয়, কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামকে করোনার সেফ হোম রূপে গড়ে তোলা হবে। এর ফলে প্রায় শয্যা সংখ্যা ৬০০ বাড়ানো যাবে। এই তিনটি সেফ হোমের দায়িত্বে থাকবে আমরি হাসপাতাল। রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই তারা সেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করবে।
কলকাতায় এর আগে ইডেন গার্ডেন্সকে পুলিশ কর্মীদের জন্য সেফ হাউস রূপে তৈরি করা হয়েছিল। তারপর কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামকেও করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুব ভারতী স্টেডিয়ামকেও সেফ হাউসে পরিণত করা হয়। এ ছাড়া জেলায়ও অনেক স্টেডিয়াম রয়েছে যেগুলোকে সেফ হাউস ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।