রতে জরায়ু মুখ ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেরিতে চিহ্নিত হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও খুব একটা কম নয়।
আশার বিষয়, এ রোগ প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তর গবেষণাও হচ্ছে। চিহ্নিত হয়েছে কোন ভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতির জন্য এই রোগ হচ্ছে। তেমনই তৈরি হয়েছে টিকা বা ভ্যাকসিন।
প্রস্তুতকারীদের দাবি ছিল যে নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে এই টিকা নিয়মিত প্রয়োগ করা হলে ওই মারণ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। এই দাবির সপক্ষে অনেক তথ্য দেয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ও চিকিৎসকদের একাংশ।
তবে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠছিল জরায়ু মুখের ক্যান্সার ঠেকাতে কতটা কার্যকরি এই ধরনের
ভ্যাকসিন বা টিকা। ভারত সহ বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলকভাবে টিকাকরণ শুরু হলেও সময় যত এগোচ্ছিল, তত এর কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন ও বাড়ছিল।
পাল্টা গবেষণা চলতে থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরাক্যানসাস ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়ন্সের অঙ্কোলজিস্ট রাহুল রবিল্লার নেতৃত্বাধীন গবেষক দল তেমনই প্রমাণ পেয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে Integrative Cancer Therapy-তে। তিনি বর্তমানে অ্যালব্যানি মেডিক্যাল সেন্টারে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।
কী দেখা গিয়েছে গবেষণাতে?
দেখা গিয়েছে সলের শরীরে জরায়ুতে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার টাকা কাজ করছেনা। কাদের ক্ষেত্রে কাজ রছে না? যে সমস্ত টিকা ব্যবহাকারীর জরায়ু মুখে দু’ ধরনের জীবাণুর উপস্থিতির হার বেশি থাকলে টিকা কার্যকরাতা হারায়।
‘ক্যালডিথ্রিক্স’ ও ‘নাইট্রোস্পাইরা’ নামের জীবাণুর উপস্থিতি যাদের জরায়ুতে বেশি, সেই মহিলাদের ক্ষেত্রে টিকা কার্যকরি হচ্ছে না।
এবার সেই তথ্য ও গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ফলে, জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকাকে আরো শক্তিশালী করতে আরো গবেষণা দরকার বলে মত ক্যান্সার চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের।
তবে, কলকাতার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল খান জানান, “ভারতে যে দুটি টিকার অনুমোদন আছে সেগুলো যথেষ্ট কার্যকরি। এই গবেষণা যে টিকা নিয়ে সেটা এখনও ভারতে অনুমোদন পেয়েছে কিনা খোঁজ নিতে হবে।” এদিকে, এন আর এস হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডলের বক্তব্য, “কোন জরায়ু মুখ টিকাতেই সম্পূর্ণ সুরক্ষা নেই। তবে, এ রকম গবেষণায় ওই ধরনের টিকা আরো উন্নত করার বিষয়ে গবেষকদের সাহায্য করবে।”
নিবারণ চক্রবর্তী