করোনা কালে বিপাকে মানসিক রোগীরা, WHO-এর সমীক্ষায় বাড়ছে উদ্বেগ

করোনা মহামারীর জেরে ব্যাহত হয়েছে বিশ্বের মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা (Mental Helth Service)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ১০৩ দেশে করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, মহামারী কালে ৯৩ শতাংশ দেশে বিপর্যস্ত মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা। কমেছে এই পরিষেবার ফান্ডিংও।

আগামী ১০ অক্টোবর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি ইভেন্টের আয়োজন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই ইভেন্ট অংশ নেবেন তারকারা। তার আগেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করল WHO। তবে এই তথ্য যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, ১০৩টি দেশের ৬০ শতাংশ মানুষই মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যাঁদের মধ্যে ৭২ শতাংশই কিশোর ও বয়ঃসন্ধি কালের মাঝামাঝি রয়েছে। ৭০ শতাংশ বয়স্ক মানুষ এই পরিষেবা পাচ্ছেন না।

মহামারী কালে কী কী ধরণের পরিষেবা থমকে গিয়েছে?

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে বাধা পেয়েছে কাউন্সিলিং আর সাইকোথেরাপি।
৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আউটডোর চিকিৎসা বাধা পেয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত এমন প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা পাননি।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে মহামারীর কারণে ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে মানসিক আর স্নায়বিক রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
প্রায় তিন চতুর্থাংশ স্কুল আর অফিসে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ ব্যাহত হয়েছে।
বেশিরভাগে দেশের মানসিক স্বাস্থ্যের খাতে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ হয় না। ফলে এমন পরিস্থিতিতে এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে বেশকিছু দেশ ইতিমধ্যে টেলি থেরাপি ব্যবস্থা চালু করেছে। যার ফলে অনেকটাই উপকৃত হচ্ছেন মানসিক রোগীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.