করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি খুব একটা উপযোগী নয়। কনভালসেন্ট প্লাজমা করোনার সংক্রমণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া থেকে আটকাতে পারে না। এর থেরাপি মরণাপন্ন বা সাধারণ রোগী কারওরই প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করে না। সম্প্রতি প্লাজমা থেরাপির উপযোগিতা জানতে ভারতীয় রোগীদের উপর একটি বড়সড় সমীক্ষা করেছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research)। সেই সমীক্ষায় এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যা চিকিৎসকদের চিন্তায় ফেলে দিতে বাধ্য।
করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা (Convalescent Plasma) এই মুহূর্তে বহুল ব্যবহৃত অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। অনেক সময়ই মরণাপন্ন কোভিড (COVID 19) রোগীকে বাঁচাতে প্লাজমা থেরাপির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে করোনা চিকিৎসায় প্লাজমার গুরুত্ব বুঝতে মত ১২১০ জন করোনা রোগীর উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আইসিএমআর (ICMR)। দেশের মোট ৩৯টি হাসপাতালে গত ২২ এপ্রিল থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ট্রায়ালটি চালায় আইসিএমআর। বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে রোগীদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। শেষে গবেষকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এই কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি বা প্লাজমা থেরাপি করোনা রোগীদের মৃত্যুহার বা সংক্রমণের গতি কোনওটাই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম নয়।
এতদিন পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় প্লাজমার ভূমিকা নিয়ে অনেকেই আশান্বিত ছিলেন বহু চিকিৎসক। কিন্তু আইসিএমআরের এই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর করোনা চিকিৎসা আরও একটা বড়সড় ধাক্কা খেল। উল্লেখ্য, এদিন সকালেই বিশ্ববাসীকে দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে। এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিতে হল অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। এই ভ্যাকসিনটি ইতিমধ্যেই প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সাফল্যের সঙ্গে উতরে দিয়েছে। অনেকেই এটিকে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে উপযোগী ভ্যাকসিন হিসেবে দেখছিলেন। কিন্তু সেটার ট্রায়ালও স্থগিত করে দিতে হল। একই দিনে প্লাজমা থেরাপি নিয়েও এল দুঃসংবাদ।