কোভিড, ব্ল্য়াক ফাঙ্গাস এসব তো আছেই। এবার নতুন উৎপাত সাইটোমেগালো ভাইরাস। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এখানেও সেই রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়ার জেরে এই বিশেষ ভাইরাসের আক্রমণ হচ্ছে। বলা ভালো শরীরের সুপ্ত হয়ে থাকা ভাইরাস ফের জেগে উঠছে শারীরিক দুর্বলতার সুযোগে। চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস শরীরের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। কিন্তু কোভিডের কারণে শরীর যখন দুর্বল হয়ে যায় তখনই সেই দুর্বলতার সুযোগে শরীরের মধ্যে জেগে ওঠে সাইটোমেগালো ভাইরাস। আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে এই ভাইরাস। আপাত নিরীহ এই ভাইরাসই তখন রোগীর মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে।
কলকাতার দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১জন করোনা রোগীর শরীরে ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। দিল্লি, পুণের পর কলকাতাতেও এই ধরণের রোগীর সন্ধান মেলায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে গত এক মাসের পরিসংখ্যান অনুসারে ৯জন রোগীর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানেও ওই হাসপাতালের চারজন সাইটোমেগালো ভাইরাসে আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। এক চিকিৎসকের দাবি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জেরে মলদ্বার থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে।
এদিকে যে সমস্ত রোগীদের মলদ্বার থেকে রক্ত বের হচ্ছে তাদের শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নানা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভাইরাস দমনে ইঞ্জেকশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এসবের মধ্যে আশার কথা একটাই, এই রোগ একজনের শরীর থেকে অপরজনের শরীরে ছড়়িয়ে পড়়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম।