দেশজুড়ে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। অদৃশ্য মারণ ব্যাধির থাবায় বিপর্যস্ত জনজীবন। এই অবস্থায় সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে দেশজুড়ে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাতিক্রম নয় বাংলাও।
আর এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal) অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে আকাশপথে সিঙ্গাপুর(Singapore) থেকে ক্র্যায়োজনিক অক্সিজেন কন্টেনারে(Cryogenic Oxygen Container) অক্সিজেন এসে পৌঁছেছে আসানসোলের পানাগড়ের(Panagarh) বায়ুসেনার ঘাঁটিতে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই(ANI) সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি(Coronavirus) মোকাবিলায় ভারতীয় বায়ুসেনার(IAF) পণ্যবাহী বিমান আইএল-৭৬(IL-76) মোট তিনটি ক্র্যায়োজনিক অক্সিজেন কন্টেইনার নিয়ে শুক্রবারই সিঙ্গাপুর থেকে পানাগড়ে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। সেখান থেকে বায়ুসেনার সি-১৭(C-17) বিমানে তিনটি ক্র্যায়োজনিক অক্সিজেন কন্টেইনার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল পণ্য নিয়ে আসা হবে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ার বেসে(Ghaziabad Hindan Air Base)।
এছাড়াও হিন্দন এয়ার বেস থেকে সি-১৭(C-17) বিমানে ছয়টি অক্সিজেন কন্টেইনারের মধ্যে তিনটি পাঠানো হবে হায়দরাবাদ ও ভুবনেশ্বরে এবং অন্য তিনটি পাঠানো হবে চন্ডীগড় থেকে রাঁচিতে।
অন্যদিকে, চারটি অক্সিজেন কন্টেইনার পাঠানো হবে লখনউ, আগ্রা, রাঁচি এবং হিন্দন এয়ার বেস থেকে আরও চারটি ককন্টেইনার যাবে ভোপাল থেকে রাঁচি, জামনগর এবং ভুবনেশ্বর।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। প্রত্যেকদিন নতুন রেকর্ড করছে ভারত। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ জন। শুক্রবারের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। শুক্রবার ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের। এই প্রথম দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার টপকালো।
অন্যদিকে বড় শহরগুলোতে দাপিয়ে এবার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে আছড়ে পড়েছে করোনার মারণ থাবা। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের গ্রামগুলোতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে যখন শহরগুলোতে নাইট কারফিউ হচ্ছে তখন গ্রামাঞ্চলে ভয়ানক পরিস্থিতি উঠে আসছে। যা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যমহল।