নিজস্ব অক্সিজেন প্ল্যান্ট পেল দিল্লি। রাজধানীতে কমনওয়েলথ গ্রামে তৈরি করা হল এক বিশেষ কোভিড সেন্টার যেখানে সরাসরি উৎপাদন কেন্দ্র থেকেই অক্সিজেন পৌঁছে যাবে রোগী শয্যায়।
নতুন কোভিড সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত অক্সিজেন প্ল্যান্টে দিনে ১ হাজার ৫০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে। দিল্লির চিকিৎসকদের সংগঠনের উদ্যোগে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম আনিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র।
শনিবারই অক্সিজেনের অভাবে এক চিকিৎসক-সহ ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে দিল্লিতে। দক্ষিণ দিল্লির বাত্রা হাসপাতালে প্রায় ৮০ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় মৃত্যু হয় তাঁদের। রবিবারও দিল্লিতে বেশ কিছু হাসপাতাল অক্সিজেনের মজুত শেষ হয়ে আসার বিপদ বার্তা দিয়েছিল দিল্লি প্রশাসনকে। মালব্যনগরে মধুকর রেনবো নামের একটি শিশু হাসপাতাল রবিবার জানিয়েছিল, অক্সিজেনের অভাবে ঝুঁকির মুখে রয়েছে তাঁদের অন্তত ৫০ জন রোগী। যার মধ্যে কম করে ৪ জন সদ্যোজাত। এমনকি একটি হাসপাতাল তার রোগীদের অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধও জানায় দিল্লি সরকারের কাছে।
১৫৭ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত কমনওয়েলথ গেমস গ্রামে ঠিক কতটা এলাকায় এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট এবং কোভিড সেন্টার তৈরি করা হয়েছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ১৪টি ব্লক-সহ এই গ্রামে ৩৪টি টাওয়ার এবং ১ হাজার ১৬৮টি বাতানুকূল ফ্ল্যাট রয়েছে। তবে প্রশাসনসূত্রে খবর, নতুন কোভিড সেন্টারে অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে সরাসরি রোগীর শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রোগীর অক্সিজেন সরবরাহে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, দিল্লি সরকার আগেই জানিয়েছিল, দৈনিক ৯৭৬ মেট্রিক টন অক্সিজেনের মধ্যে কেন্দ্র মাত্র ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন বরাদ্দ করেছে তাদের। যার পুরোটা আবার প্রতিদিন এসে পৌঁছচ্ছে না প্রশাসনের হাতে। শুক্রবারই দিল্লি সরকার জানিয়েছিল, কেন্দ্রের থেকে ৩১২ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে তাদের।