করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নজরে রেখে একটি প্রতিষেধক তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। আমেরিকার টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই প্রতিষেধক তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে বাজারে এমন একটি প্রতিষেধক চলে আসতে পারে বলে জানালেন সেরামের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। প্রসঙ্গত, আমেরিকারই আর এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না তাদের টিকা আরও উন্নত করেছে সম্প্রতি। সেই টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্রও দিয়েছে ব্রিটেন। ওই প্রতিষেধক শুধু ওমিক্রনকে আটকাবে না, করোনাভাইরাসের আগের রূপগুলিকেও রুখে দিতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে মডার্নার তরফে।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণের হারে আবার ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। দিল্লিতে হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক সংক্রমণ। তা নিয়ে উদ্বেগের আবহে পুনাওয়ালা বলেন, শুধু মাত্র ওমিক্রন রূপের জন্যই একটি প্রতিষেধক তৈরি করা জরুরি। ওমিক্রনের উপসর্গ মোটেই মৃদু নয় এবং তা ফ্লুয়ের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে পুনাওয়ালা জানান, ওই প্রতিষেধক কবে ভারতের বাজারে প্রবেশ করবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে সরকারি ছাড়পত্র কবে মিলবে, তার উপর। এই প্রতিষেধকের জন্য ভারতে আলাদা ভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল জরুরি কি না, তা-ও এই মুহূর্তে জানেন না সেরাম কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রতিষেধককে বুস্টার হিসাবে জরুরি মনে করা উচিত।’’