ডেল্টার মতো ভয়াবহ হয়ে ওঠেনি ওমিক্রন। এমনকী আল্ফা বা বিটার মতোও ক্ষতিও করতে পারেনি করোনার এই রূপটি। যদিও এই ওমিক্রনই এখন আবার নিজের রূপ বদল করছে। কিন্তু তা নিয়েও এখনও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু ওমিক্রন করোনার অন্য রূপগুলির মতো ভয়াবহ হয়ে উঠল না কেন? আগামী দিনে কি করোনা নিয়ে তাহলে আর ভয় নেই? এ বিষয়ে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ গগনদীপ কাং এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্য অনেকটাই ভালো ছিল। তাই খুব বেশি ক্ষতি হয়নি করোনার এই রূপটির ক্ষেত্রে।
যদিও ওমিক্রন সংক্রমণ শুরু দিকটাই ছবিটা এরকম ছিল না। অনেকেই ভেবেছিলেন, এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে চলেছে। গগনদীপ কাঙের কথায়, প্রথমে অনেকেই ওমিক্রন সম্পর্কে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কারণ ব্যাপক মাত্রায় মিউটেশন হয়েছিল এই ভাইরাসটির। তাতে বোঝা যাচ্ছিল না, ভাইরাসটি ঠিক কতটা ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন, ওমিক্রন ডেল্টা বা করোনার অন্য রূপগুলির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
এর পরেই গগনদীপ কাং বলেছেন, আমাদের ভাগ্য ভালো ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। কেন এমন বলছেন তিনি?
তাঁর মতে, করোনার এই রূপটি যখন মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে ভাঙছে, ঠিক একই সময়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তি এই ভাইরাসটির সঙ্গে খাপও খাইয়ে নিচ্ছে। বেশির ভাগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সাধারণতটি এমনটি দেখা যায় না। সেই কারণেই তাঁর মত, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্য ভালো ছিল।
পাশাপাশি তাঁর মতে, মানুষের ভাগ্য ভালো ছিল বলেই ওমিক্রনের মতো একটি ভ্যারিয়ন্টে এসেছিল। তার জায়গায় করোনাভাইরাস মিউটেশন ঘটিয়ে অন্য কোনও রূপ নিলে সেটি মারাত্মক হয়ে উঠতেই পারত।