ফের কোভিড আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক আধিকারিক। পুলিশ সূত্রে খবর, নিউ মার্কেট থানা এক সাব ইন্সপেক্টর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ রিপোর্ট হাতে পান তিনি। রিপোর্টে দেখা যায় নভেল করোন ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন এই আধিকারিক। আরও জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি গত শুক্রবার নাইট ডিউটিতে যোগ দিতে যান। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি ডিউটি করতে পারেননি। তাঁর জায়গায় অন্য কর্মী ডিউটি করেন বলে থানা সূত্রে খবর। তাঁকে শনিবার করোনা টেস্ট করতে নিয়ে যান আরও দুই সহকর্মী। লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জীবাণু মিলেছে তাঁর শরীরে।
এদিন সকালে রিপোর্ট এলে এসআই এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যার তিনজনেরই করোনা পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে। এই খবর থানায় এলে তাঁর সংস্পর্শে থাকা পুলিশ কর্মীদের কোয়ারান্টিন করার তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে আনন্দপুর থানা ট্রাফিক সার্জেন্ট, বউবাজার, মেটিয়াবুরুজ ও প্রগতি ময়দান থানার ওসিরাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জোড়াবাগান থানার এক এসআই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তালতলা থানার ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মাসখানেক আগেই। সম্প্রতি হাওড়া থানার দুজন পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে।
সম্প্রতি গড়ফা থানায় একাধিক ঘটনা সংক্রমণে ঘটনা ঘটে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে থানার কর্মীরা। গড়ফা থানার পুলিশ কর্মীরাই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভাঙচুর করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ক্রমেই পুলিশ বাহিনীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে পুলিশ প্রশাসন তথা স্বরাষ্ট্র দফতর। করোনা সংক্রমন রুখতে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুল ও বিধাননগরের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ছাউনিতে পুলিশি বিক্ষোভ হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের কর্মীদের থাকাতে ছুটে যেতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।