দেশে প্রতিদিনই নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। এই আবহে করোনা চিকিত্সার ক্ষেত্রে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, করোনা থেকে সেরে উঠতে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত। প্রয়োজনের থেকে বেশি পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও সতর্ক করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে বলেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডঃ ভিকে পাল। তিনি করোনা চিকিত্সার ক্ষেত্রে স্টেরয়ডের প্রয়োগ নিয়েও সতর্ক করেন।
ডঃ ভিকে পাল বুধবার বলেন, ‘ওষুধের প্রয়োগ নিয়ে একটি উদ্বেগ রয়েছে। আমরা যে ওষুধই দিই না কেন, তা যুক্তিযুক্তভাবে ব্যবহার করা উচিত। কোনও ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। গতবার (করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়) আমরা খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। তখন করোনার চিকিত্সায় প্রয়োগ হওয়া ওষুধের কারণেই মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন রোগীরা।’
কেন্দ্রের তরফে নীতি আয়োগের সদস্য আরও বলেন, ‘স্টেরয়েডের ব্যবহার মিউকোরমাইকোসিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। স্টেরয়েড খুব শক্তিশালী জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। কিন্তু তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে এবং এগুলি ইমিউনোলজিক্যাল সুরক্ষার ক্ষেত্রে উলটো কাজ করে। স্টেরয়েড অনেক জৈব রাসায়নিক পথকে বিরক্ত করে। তাই গতবারের ঘটনা আমাদের কাছে খুব বড় শিক্ষা ছিল… আমরা তখন শিখছিলাম কিন্তু এখন আমরা এটি জানি। তাই এখন সাধারণ জনগণের সচেতন হওয়া উচিত। চিকিত্সার একটি জাতীয় প্রোটোকল রয়েছে। আমাদের অবশ্যই সেই প্রোটোকলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।’
ডঃ ভিকে পাল পরামর্শ দেন, ‘জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল এবং কাশির জন্য আয়ুষ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা হোম কেয়ার মডিউলে এর উল্লেখ করেছি। কাশি তিন দিনের বেশি চলতে থাকলে বুডেসোনাইড নামক একটি ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তিনটি জিনিসই করতে হবে।’ তাছাড়া গার্গেল করার উপরও বিশেষ জোর দেন ডঃ পাল।