বাঙালির কাছে হোমিওপ্যাথি খুবই পরিচিত চিকিৎসা পদ্ধতি। বিশ্বাস তো আছেই এমনকি অনেক ক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার থেকেও বেশি নির্ভরতা দেখা যায়। তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অনেকের মনেই আছে অনেক প্রশ্ন। অনেকেই এটাকে অবৈজ্ঞানিক মনে করেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমনই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর–
১। প্রায় ২০০ বছর আগে স্যামুয়েল হানিম্যান নামের এক চিকিৎসক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন৷
২। এই চিকিৎসার তত্ত্ব হচ্ছে, কোনেও একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে কোনও একটি ‘সাবস্টেন্স’ বা উপাদান প্রয়োগ করা হলে যে প্রতিক্রিয়া হয়, সেই একই প্রতিক্রিয়া দেখানো রোগীকে সুস্থ করতে সেই সাবস্টেন্স ব্যবহার করতে হবে৷
৩। একজন রোগীকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক লক্ষণের পাশাপাশি মানসিক অবস্থা এবং আবেগেরও মূল্যায়ন করেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা৷
৪। চিকিৎসকরা একটি ঔষধে যেসব উপাদান ব্যবহার করেন, তা এতটাই দ্রবীভূত করা হয় যে, তার মধ্যে থাকা উপাদান বিশ্লেষণ করে আর মূল উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না৷
৫। হ্যানিম্যান এক্ষেত্রে এক গূঢ় ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথি ওষুধে এক ধরনের ‘স্পিরিট-লাইক পাওয়ার’ রয়েছে৷ অনেকেই অবশ্য মনে করেন, এ ধরনের কথার কোনেও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই৷
৬। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় খুবই বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান আর্সেনিক এবং প্লুটোনিয়াম প্রায়ই ব্যবহার করা হয় বলে জানা যায়৷ হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরির উপাদানের তালিকায় পটাশিয়াম সায়ানাইড এবং মার্কারি সায়ানাইডও থাকে বলে জানা যায়৷ এছাড়া বিভিন্ন ওষধিও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়৷
৭। হোমিওপ্যাথির সমালোচকরা বারবার দাবি করে আসছেন যে, একজন রোগীকে কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তা তিনি জানতেই পারেন না।
৮। অকার্যকর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনেক সময়েই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, এতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ অপেক্ষায় রোগ জটিল আকার নিতে পারে।
৯। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা সাধারণত একজন রোগীকে এবং তাঁর রোগ সম্পর্কে জানতে অনেক সময় ব্যয় করেন৷ তাঁরা সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে রোগীর দুর্বলতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।
১০। অনেকেই বলেই, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ওষুধের বদলে সাইকোথেরাপির উপরে বেশি নির্ভরতা থাকে। একজন মানুষের‘সেল্ফ-হিলিং’ ক্ষমতা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়৷ ওষুধ এখানে গৌণ ব্যাপার৷