বিএফ.৭। ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্ট। আপাতত করোনার এই প্রকারভেদটিই চিনে মরণতাণ্ডব শুরু করেছে। কিন্তু তা যে এত তাড়াতাড়ি এ দেশে মিলবে, এতটা সম্ভবত আশঙ্কা করেনি ভারত। এরই মধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। আজ, বুধবারই বিএফ.৭-এর অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়েছে ভারত। যদিও এই বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টটি দেশে প্রথম সনাক্ত হয়েছিল অক্টোবরে। ওডিশা থেকে একটি এবং গুজরাট থেকে ২টি নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
যদিও, আজ বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বাড়বাড়ন্তের দিকে হাঁটতে-থাকা করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিল। সেখানে দেশের সার্বিক করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়, কিছু কিছু বিধিনিষেধ ফের আরোপ করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সরকারি ভাবে এটুকু বলা হয়েছে, এখনই আতঙ্কের কিছু নেই, তবে করোনা-পরিস্থিতির উপর নিরন্তর নজর রেখে চলতে হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এই বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টটির অস্তিত্ব নিয়ে খবর পাওয়ার পরে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে পড়েছে সন্দেহ নেই। কেননা, বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টটি থেকে বেজিং ভুগছে। বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টটি-কে বলা হচ্ছে ‘হাইলি ট্রান্সমিসিবল’। ফলে, ভয় থাকছেই।
বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৫-য়ের একটি সাব-লিনিয়েজ। চিন ছাড়াও এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে এই ভ্যারিয়েন্টটির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
চিনে হু হু করে বেড়ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। একদিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন চাপ বেড়েছে চিনের হাসপাতালগুলোর ওপর, তেমনই মরদেহ সৎকার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে শ্মশানগুলি। চিনের বেজিং, চংকিং ও গুয়াংঝৌ শহরের শ্মশানগুলোতে সারি সারি মরদেহ দেখা গেছে। শ্মশানগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে তারা এখন অনেক ব্যস্ত। এমনকি একটি শ্মশান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মরদেহ রাখার জায়গাও শেষ হয়ে আসছে।
বেজিংয়ে করোনায় মৃতদের সৎকারের জন্য ব্যবহৃত একটি শ্মশানের বাইরে গাড়ির সারি দেখা গেছে। মরদেহবাহী এসব গাড়ির অনেকগুলিকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে।
২০১৯ সালে চিনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত চিনে মোট ৫২৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে দেশটির সরকার।