মহারাষ্ট্রে আরও জাঁকিয়ে বসছে করোনার থাবা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভাঙতে এবার নড়েচড়ে বসলো মহারাষ্ট্র সরকার , উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার মঙ্গলবার মুম্বই এবং রাজ্যের কিছু অংশে লকডাউন ঘোষণা করবে বলে জানা গিয়েছে।
সরকার ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সম্পূর্ণ, আবার কয়েকটি জায়গায় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এদিন রাজ্যের কোভিড -১৯ টাস্কফোর্সের প্রধান সদস্য, উপ-প্রধান মন্ত্রী অজিত পাওয়ার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ,এবং মুখ্য সচিব সীতারাম কুন্তের সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলবার মাইক্রো লকডাউন এবং কনটেন্ট জোনগুলোতে নতুন নিয়ম ঘোষণা করবেন।about:blank
শনিবার, হোটেল ও রেস্তোঁরার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যের হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলিকে কঠোরভাবে কোভিড -১৯ প্রোটোকল মানার নির্দেশ দেন। এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার জন্যে অনুরোধ করেন। রাজ্যটিকে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত যাতে নিতে না হয় সেবিষয়ে সতর্কও করেন তিনি। নতুন নিষেধাজ্ঞায়, বিবাহ, জনসমাগম, দফতরের (সরকারি ও বেসরকারী) উপস্থিতি, ধর্মীয় ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
কোভিড টাস্কফোর্সটি মহারাষ্ট্র সরকারকে টিকা কেন্দ্রগুলি বাড়ানো এবং আবাসনগুলোতে ঘরে ঘরে পরিষেবা সরবরাহ করার জন্যে অনুরোধ করেছে।মহারাষ্ট্রে করোনাগ্রাফ ক্রমশ উর্ধমুখী। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৬২০ জন। যা দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সর্বোচ্চ। এই মুহূর্তে মোট সংক্রমিত হয়েছে ২৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৪১৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে যে, ভারতের মোট সক্রিয় কেসের ৭৬.৯৩ শতাংশ শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র, কেরল এবং পাঞ্জাবের রয়েছে।
নাগপুর সিটিতে এক সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার থেকে । গত সপ্তাহের শুরুতে, ক্রমেই কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন ১৫ থেকে ২১ শে মার্চ পর্যন্ত নাগপুর সিটি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব বেসরকারী অফিস বন্ধ থাকবে। সরকারী দফতরগুলিকে 25% ক্ষমতায় কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।