ক্রমশ উদ্বেগ বাড়িয়ে জাঁকিয়ে বসছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্ত্রের সংখ্যা দেড় লক্ষ টপকেছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্যগুলি। শুরু হয়ে গিয়েছে দফায় দফায় লকডাউন, নাইট কার্ফু।
যার ফলে দেশের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে সরকারের। করোনার দাপট রুখতে বুধবার ফের বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, আমলা, সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে একটি বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এর আগেও গত ৮ মার্চ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তিনি। আর সেই সময় তিনি রাজ্যগুলিকে অল্প সংখ্যক কর্মচারীদের নিয়ে অফিস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এইবার তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নয়, করোনা নিয়ে আলোচনা করবেন সব রাজ্যের রাজ্যপালদের সঙ্গে ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপালের নেতৃত্বে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পরিচালনায় করোনা নিয়ে সমস্ত রাজ্যের সর্বদলীয় সভা করা উচিত এবং এটি নিয়ে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এটা আমার অনুরোধ যে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা সকল নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে একসাথে ভার্চুয়াল সভা করবেন এবং দেশ ও বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবেন। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। ”
তিনি আরও বলেন, ” এখন রাজনীতি করার সময় নয়। এই সময়ে সবাই একসঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে করোনাকে প্রতিহত করতে হবে। গ্রাম থেকে শহর সমস্ত জায়গায় সাধারণ মানুষেরা যাতে কঠোর ভাবে করোনা বিধি মেনে চলেন তাও নিশ্চিত করতে হবে।”
এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ১,৬১,৭৩৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১, ৭১,০৫৮।
অন্যদিকে , করানার দ্বিতীয় ঢেউ রীতিমতো বিপজ্জনক আকার নিচ্ছে দেশজুড়ে। দেশের মধ্যে করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে মহারাষ্ট্রে। সংক্রমণে লাগাম টানতে মাহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এক বিবৃতি জারি করে এমনই জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকার।
বিবৃতিতে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে লকডাউনে সায় নেই প্রশাসনের। তবে করোনা পরিস্থিতি বিচার করে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের। বুধবার রাত আটটা থেকে জারি হবে ১৪৪ ধারা। ১৫ মে পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে এক জায়গায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। যে কোনও হোটেল বা দোকান থেকে জিনিস কিনে আনা যাবে সকাল সাতটা থেকে রাত আটটার মধ্যে।